আহসান উল্লাহ বাবলু, আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়কে অবৈধ ভাবে বালি রাখায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৭/৮ জন আহত হয়েছে। মেইন সড়কের উপর বালি রাখার ঘটনা অহরহ ঘটলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় যানবাহন চালক, পথচারী ও যাত্রী সাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বালিসহ নানা রককের মালামাল রাখার হয়ে থাকে। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি ও যানজটের পাশাপাশি নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে আসছে। চাপড়া বেইলী ব্রিজ দুর্বল হয়ে পড়ায় অতিরিক্ত মাল বোঝাই ট্রাক ব্রিজ ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে এ পথে আসা অনেক ট্রাক চাপড়া প্রান্তে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে মালামাল আনলোড করে থাকে। অনেক ট্রাক থেকে মালামাল সড়কের উপরও আনলোড করতে দেখা যায়। এতে যানজট, চলাচলে বিঘœতা সৃষ্টি ও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
কিন্তু তারপরও খুবই ব্যস্ততম সড়কের উপরে মালামাল রাখা ও আনলোড করা থেকে বিরত রাখতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ইতিপূর্বে সড়কের উপর রাখা বাঁশ বোঝাই ট্রাকের সাথে ধাক্কায় আশাশুনি থানার একজন পুলিশ বুকে বাঁশ বিধে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া আরও অনেক অঘটন এখানে ঘটে চলেছে। শুক্রবার একই স্থানে দু’টি ট্রাক থেকে সড়কের উপরেই বালি আনলোড করে রাখে। বালি সড়কের অর্ধেক স্থান জুড়ে ফেলে রাখা হয়, আর ক্রমে ক্রমে তা পুরো সড়ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার রাতেই সিলেকশান বালি ছড়িয়ে থাকা সড়কের উপর যানবাহন বিশেষ করে মটর সাইকেল উঠে টায়ার স্লিপ করে আশাশুনি প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম আহসান হাবিবসহ কয়েকজন দুর্ঘটনা কবলিত হন। কিন্তু তারপরও বালি সরানো হয়নি।
শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একই ভাবে ৫/৬টি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এসব দুর্ঘটনায় আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসানসহ ৭/৮ জন দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে আহত হন। বিষয়টি আশাশুনি থানাকে অবহিত করা হলে ওসি গোলাম কবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ায় সন্ধ্যার মধ্যে বালি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি আর যাতে সড়ক দখলে নিয়ে বালি বা কোন মালামাল ও সরঞ্জমান রাখা না হয় সেব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ জন প্রতিনিধিদের কাছে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।