নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় মানববন্ধনে অংশ নেওয়ায় ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এবাদুল মোল্যাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গুরুতর আহতবস্থায় বৃদ্ধ ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮-৩০ মিনিটে গদাইপুর গ্রামে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনে। এসময় তিনি তুয়ারডাঙ্গা মৎস্যসেটের দিকে যাচ্ছিলেন।
চিকিৎসাধীন এবাদুল মোল্যা জানান, মঙ্গলবার সকালে আমি ঘটনাস্থলে পৌছানো মাত্র অহিদুল মোল্যার নির্দেশে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ভাইপো শিমুল ও নাজমুল, ভাই শহিদুলসহ ১৬-১৭ জন সন্ত্রাসী আমাকে ঘিরে ধরে পিটিয়ে রক্তাত্ব জখম করে। কেউ কেউ বলে ‘ওর সংবাদ সম্মেলন করার স্বাদ মিটিয়ে দে’। এর আগের দিন (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারা দল বেঁধে আমার বাড়ির সামনে এসে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় হুমকি ধামকি দিয়ে গেছে। সাংবাদিকদের কাছে যাওয়ায় তাদের অনেক খরচা হয়েছে তাই তারা আমার থেকে সে টাকা উসুল করবে বলে শাসিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন অহিদুল মোল্যা বহুদিন ধরে খুলনায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে সেখানে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। বছর খানেক আগে এলাকায় এসে আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতাদের সাথে মিশে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছিলো। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে আমি এর প্রতিবাদে সোমবার সাতক্ষীরায় মানববন্ধনে গেলে সে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তার লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমি একজন বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে পিটিয়ে হত্যা করতে যাওয়া এরা কিভাবে আওয়ামীলীগার হতে পারে সে প্রশ্ন জাতির কাছে তুলে ধরলাম।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করার খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে দেখতে আসেন উপজেলা সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, আমজেদ আলী, মোজাম মোল্যা, মজিদ মাষ্টার, চন্টু মোল্যাম আব্দুর রব সানা, মুজিবর রহমান, নুর ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান জানান- খবর পেয়ে আমারা হাসপাতালে সহযোদ্ধা ভাইকে দেখতে গিয়েছি। থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবিরকে মামলা নিয়ে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির জানান- বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, প্রকৃত দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।