খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরার পল্লীতে রাউতাড়ায় ২তলা ভবন থেকে জানালার শোলা ভেঙে বাড়ির কোন সদস্য না থাকার সুযোগে নগদ অর্থ,তৈজসপত্র ও প্রয়োজনীয় জমাজমির কাগজপত্র চুরি হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বৃহস্পতিবার( ৪ নভেম্বর) বিকালে চুরি হওয়া বাড়ি পরিদর্শন ও বাড়ির মালিক অবঃ শিক্ষক অনিল কৃষ্ণ মন্ডলের মাধ্যমে জানা যায়, প্রায় ৬০ বছরে আগে নির্মিত জরাজীর্ন বাসভবনের জানালার শোলা ভেঙে দুর্বৃত্তরা ঘরে গচ্ছিত রাখা নগদ অর্থ,তৈজসপত্র ও জমাজমির প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে গেছে। জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে পিছনের দরজা খুলে কে বা কাহারা এ চুরি সংঘটিত করেছে বলে বাড়ির মালিক অভিযোগ করেন।
খাজরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রাউতাড়া গ্রামের মৃত দয়াল চন্দ্র মন্ডলের পুত্র অবঃ শিক্ষক অনিল কৃষ্ণ মন্ডল(৬৫) জানান, আমি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর পাশ^বর্তী দেশ ভারতে আমার পরিবার নিয়ে অধিকাংশ সময় থাকি। ২তলা ভবনের ২য় তলায় আমার কক্ষ। কক্ষের মধ্যে নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজ পত্র থাকে। প্রায় ৬মাস আগে আমি মেডিকেল ভিসা নিয়ে স্বপরিবারে ভারতে অবস্থান করি। ভারতে থাকাকালীন সপ্তাহ খানেক আগে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার ঘরের জানালা ভাঙ্গা। পরে বৈধ ভিসা নিয়ে আজ বিকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ফয়সাল গাজীকে নিয়ে ঘরে গিয়ে দেখি কে বা কাহারা আমার ঘরের জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ ৩৫হাজার টাকা,তৈজসপত্র,জমাজমির প্রয়োজনীয় দলীল,স্কুল সার্টিফিকেট নাই। সব মিলে আমার লক্ষাধীক টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। আমি আশাশুনি থানা পুলিশের মাধ্যমে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রতিবেশী পরিতোষ মন্ডল(৬০) জানান,বাড়িতে কেউ না থাকায় এবং বাড়ির সীমানা ঘেষে আতা গাছ থাকায় অনেক সময় এলাকার ছোট বাচ্চারা গাছ বেয়ে ২য়তলার ছাদে উঠতে দেখা যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুর্বৃত্তরা ১সপ্তাহের মধ্যে কোন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমার মনে হয়।
চুরি ঘটনায় বাড়ি মালিক অনিল কৃষ্ণ মন্ডল আশাশুনি থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নিবেন বলে জানায়।
উল্লেখ্য,খাজরা ইউনিয়নে বিগত ৬মাসের মধ্যে একাধিক চুরি ঘটনা ঘটেছে। আইন শৃখংলা রক্ষাকারী কাজে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ চুরি রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে জোর দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসী।