শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি: শ্যামনগরে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে ২ জন মারাত্মক হয়েছে। আহতরা হলেন, শ্যামনগর সদর সংলগ্ন চন্ডিপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী নাছিমা খাতুন (৩৫) ও তার পুত্র জাহিদ হাসান আকাশ(১৪)।এ ঘটনায় চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আরশাদ আলী গাজীর পুত্র সেকেন্দার আলী (৫২) শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।
এজাহার সূত্রে প্রকাশ, চন্ডিপুর মৌজার জে, এল, ৯৪ নং এর মধ্যে ৩২ শতক পৈত্রিক ও রেজিঃ কোবলা সম্পত্তিতে এসকেন্দার আলী পাকা প্রাচীর দিয়ে গাছগাছালি লাগিয়ে বাড়ি ঘর তৈরী করে দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপুর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। এ সম্পত্তি নিয়ে অহেতুক বিরোধ সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠে প্রতিবেশী মৃত আব্দুল মালেক গাজীর পুত্র শওকাত হোসেন সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ১৮ অক্টোবর পরিকল্পিত ভাবে ঐ সম্পত্তি দখল করতে যাওয়ায় প্রতিপক্ষের দ্বারা মারাত্মক আহত হন নাছিমা খাতুন ও তার পুত্র আকাশ। নাছিমা খাতুনকে রক্তাত্ত জখম ও আকাশ কে হাড় ভাঙ্গার গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠে।
তাদের কে উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার প্রতিবেশী শওকত গাজী, শাহাজান সরদার, এবাদুল গাজী, রাজু গাজী, আব্দুল্যাহ গাজী, আব্দুর রহিম গাজী, রেজা সরদার, শহিদ সরদার সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন কে আসামি করে শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। গত ৮ আগস্ট এ সম্পত্তি নিয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয় শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস, এম, জহুরুল হায়দার বাবু বরাবরে এসকেন্দার আলী গাজী বাদী হয়ে শওকাত হোসেন দিং বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ইউপি চেয়ারম্যান এস, এম, জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি ¯’ানীয় ভাবে সমাধান করার জন্য দায়িত্ব দেন ইউপি সদস্য শক্তি শেখর চক্রবর্তী ও ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ কে। তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উভয় পক্ষের উপস্তিতিতে পৃথক পৃথক শুনানি করেন সালিশি বৈঠকে।
সালিসী বৈঠকের সিদ্ধান্তে জানা যায়, শওকত হোসেন দিং কে জমির উপর দখল বেদল কে কেন্দ্র করে গোলযোগ ফ্যাসাদ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এসকেন্দার আলীর সম্পত্তিতে বিবাদীদের খোঁটা উত্তোলন করে পূর্বের ন্যায় সীমানা বহাল অন্তে বসবাস করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান এস, এম, জহুরুল হায়দার বাবু এ ধরনের সালিসী বৈঠকের সিদ্ধান্তে দেখিলাম মর্মে স্বাক্ষরিত রয়েছে। অন্যান্য বিষয় অস্বীকার করে শওকত হোসেন জানান, এ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে এ ধরনের সালিসী বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহেদ মূর্শেদ জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।