বিশেষ প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের সেই হাওলাদার বাড়ি বায়তুন নাজাত জামে মসজিদটি ভাটায় ভেঙে গেছে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে মসজিদটি খালপটুয়া নদীর ভাটার টানে ভেঙে পড়ে। এর আগে, ১০ আগস্ট থেকে উপকূলীয় রিং বাঁধ ভেঙে মসজিদটিসহ লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। এরপর থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল মসজিদটি। প্লাবিত এলাকায় পানি সাঁতরে মসজিদটিতে আজান ও নামাজ আদায় করতেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফজ মঈনুর রহমান। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনায় আসে মসজিদটি।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, পার্শ্ববর্তী বন্যতলা এলাকায় খালপটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। লোকালয়ের মধ্য দিয়ে নদীর জোয়ার ভাটা শুরু হয়। ভাঙনের কবলে পড়ে অসংখ্য ঘর বাড়ি ভেঙে পানিতে বিলীন হয়ে যায়। তবে, গত দুই মাস যাবত মুল ভূখন্ড থেকে মসজিদটি আলাদা হয়ে যাওয়ায় সেখানে নামাজ আদায় করতে পারেননি মুসল্লিরা। শুক্রবার ভাটার টানে একবারেই ভেঙে পড়ে মসজিদটি।
প্রতাপনগর হাওলাদার বাড়ি বায়তুন নাজাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মঈনুর রহমান বলেন, ফজরের নামাজের পর মসজিদটি ভেঙে পড়েছে। অবকাঠামো একেবারই বিলীন হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই থেকেই আমি এখানে বসে আছি, কি কিরবো? ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় বন্যতলা বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। এরপর থেকেই মানুষ পানিতে ভাসছে। আজ জুমার দিন মসজিদটিও ভেঙে নদীতে চলে গেল। মুসলমান হিসেবে আমাদের জন্য এর থেকে কষ্ট আর হতে পারে না।