Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরের মালামাল চুরি থামছে না

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির দরগাহপুর ইউনিয়নের রামনগর আশ্রায়ন প্রকল্পের ৩০টি ঘরের মালামাল আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন মোস্তফা গাজী। ঘরের ঢেউ টিন, ঘেরাবেড়ার মালামালসহ সকল সরঞ্জামাদি তিনি নিজের দখলে নিয়ে নির্বিঘেœ লুটপাট করে নিলেও কোন প্রতিরোধ হচ্ছে না।

রামনগরের নদী ভরাটি চরে সরকারি ভাবে প্রায় ১৮ বছর আগে ৩০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়। ৩০টি পরিবার সেখানে উঠে বসবাসও শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে বসবাসকারীরা একে একে কাজের সন্ধানে ও বিভিন্ন কারণে ঘরের দখল ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। কেবলমাত্র মৃত আমিন গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজী একটি ঘরে বসবাস করার পাশাপাশি সকল ঘরের দখল ও দেখাশুনা, পুকুর, অন্য সরঞ্জামাদি নিজেই ভোগজাত করতে থাকেন।

এলাকা বাসী জানান, বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা ঘর ব্যবহার না করা ও তদারকি না থাকায় মোস্তফা নির্বিঘেœ ঘরের আসবাবপত্র, বেড়ার টিন, ছাউনির টিনসহ সরঞ্জামাদি আত্মসাতে নামেন। মাঝে মাঝে সুযোগ বুঝে অধিকাংশ ঘরের বেড়ার টিন, কিছু ঘরের ছাউনির টিন ও বেড়ার অন্য সরঞ্জাম খুলে নিয়ে গোপনে বিক্রয় করতে শুরু করেন। এনিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ হলে চেয়ারম্যান তদন্তের উদ্যোগ নিলেও পরবর্তীতে আবারও মোস্তফা প্রতিরোধ ছাড়াই তার কারবার শুরু করেন। গত ১ অক্টোবর তিনি কিছু টিন গোপনে বিক্রয় করেন। ৪ অক্টোবর আবারো কিছু টিন খুলে বিক্রয়ের জন্য একস্থানে ঝাঁপ করে রাখেন। খবর পেয়ে একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে খুলে রাখা কিছু টিনের স্তুপ দেখতে পান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তফা জানান, আগে তিনি কিছু খারাপ টিন বিক্রয় করেছি। ইউপি চেয়ারম্যান বলার পরে আর বিক্রয় করিনি। অনেক ঘরের চালের টিন নেই, ঘেরাবেড়ার টিন, অন্য সরঞ্জাম নেই, ফাঁকা হয়ে গেছে, এসব টিন গেল কোথায়? প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিতে পারলেও তিনি সবকিছু দেখাশোনা করছেন, এতে অনেকের সহ্য হচ্ছে না। তাই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান জানান, আমার আসার অনেক আগেই ঘরগুলো নির্মাণ করা। আমরা একবার সেখানে দেখতে গিয়েছি। কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) শাহীন সুলতানাকে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানানো হলে ইউএনও নাজমুল হুসেইন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবী, ৩০টি পরিবারের বসবাসের নিরাপদ ঘর নির্মাণে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ সেখানে কেউই থাকে না। টিনসহ মালামাল চুরি হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক এদাবী সকলের।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version