কলারোয়া সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার ৩নং গদখালি ওয়ার্ডের সরকারি কলেজপাড়া এলাকার ৫০টি পরিবারের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দূর করতে সেচ পাম্পের সহায়তা করে এলাকাবাসী পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন।
গত কাল বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা পরিষদ সদস্য শেখ আমজাদ হোসেন সরজমিনে পৌরসভার পানি বন্দী এলাকা পরিদর্শন শেষে পানি নিষ্কাশন কাজের সন্তোষ প্রকাশ ও অগ্রগতি বিবেচনা করে নগদ ১৫ হাজার টাকা চলমান পানি সেচ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেন।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি বর্ষা সৌসুমে বৃষ্টিতে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড সরকারি কলেজ পাড়া সংলগ্ন কিছু নিন্ম এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে ৫০টির মত পরিবারের মানুষ। এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার বিষয়টি স্থানীয় আ’লীগ নেতা এনায়েত খান টুন্টুর পরামর্শে জলাবদ্ধতা নিরসনে আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেনের আর্থিক সহযোগীতায় গত কয়েকদিন যাবৎ ৩টি সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছেন।
আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, পৌরসভার সরকারি কলেজ পাড়া এলাকার মানুষের জলাবদ্ধতার কথা জানতে পেরে এলাকাবাসীর দূরভোগ দূর করতে ওই এলাকার জমে থাকা পানি সেচ ওাম্পের মাধ্যমে নিষ্কাশনের কাজ চলমান রেখেছি যাতে প্রতিবেশীরা তাদের পরিবার নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারে৷ তবে এ কাজটি মুলত পৌরসভার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে অনেকটা অবহোলার কারণে পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চলে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সঠিক তদারকি হলে পৌরসভার সাধারণ মানুষ জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।
কলারোয়া পৌরসভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, সরকারি কলেজপাড়া, মাসকুড়ো মাঠ, গদখালি এলাকার জলাবদ্ধতা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সেচের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় হালকা বৃষ্টি হলেই যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে তার মূল কারন অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ যে কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে উঠেছে এমন জলাবদ্ধতা দুর করতে পরিকল্পিত ভাবে পৌরসভা কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আ’লীগ নেতা মৎস্য ব্যবসায়ী এনায়েত খান টুন্টু, সমাজ সেবক মাগফুর রহমান, বেল্লাল হোসেন, যুবলীগ নেতা রুবেল মল্লিক, টিটু, মোবারেক হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।