আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির কাদাকাটি ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী টেংরাখালী আড়ং মেলায় ১০টি শারদীয়া দুর্গাপূজা মন্ডপের প্রতিমা একত্রিত করে একসাথে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকাল থেকে গভীর রাত্র পর্যন্ত আড়ং মেলা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পদচারনায় উৎসব মুখর হয়ে ছিল।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিন বলেন, সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের সম্প্রীতি এক ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের না, সম্প্রীতি মানুষের সাথে মানুষের। সাতক্ষীরায় সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে স্ব-স্ব ধর্ম পালন করে আসছে। আগামীতেও এই সম্প্রীতি বজায় থাকবে। ধর্ম নিয়ে বাড়া বাড়ি করা যাবে না। যে যার ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করবে। ধর্মের দোহায় দিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি কারীদের ছাড় দেয়া হবে না। একই সাথে যুব সমাজকে রক্ষা করতে সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব হোক সবার।
আড়ং মেলা পরিচালনা কমিটির সার্বিক তত্ত¡াবধানে টেংরাখালী আদর্শ শিক্ষা নিকেতন চত্বরে মহিষাসুর মর্দিনী মহামায়া দেবী দুর্গার নিরঞ্জন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মেলায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) এম এম জামিল আহমেদ, আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবির, ওসি (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপঙ্কর কুমার সরকার (দীপ), দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলি, সাবেক চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মফিজুল হক, চেয়ারম্যান প্রার্থী অমৃত সানা প্রমুখ। আড়ং মেলায় টেংরাখালী গ্রামের ২টি, তালবাড়িয়া গ্রামের ২টি, তেতুলিয়া ঝিকরা গ্রামের ২টি, ঠাকুরবাড়ীর ১টি, মিত্র তেতুলিয়া কায়স্থ বাড়ির ১টি, মোকামখালী গ্রামের ১টি ও ঝিকরা তরফদার বাড়ির ১টি মোট ১০টি পূজা মন্ডপের ঠাকুর একত্রিত করা হয়। হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনাথীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে গভীর রাতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।