সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি: শ্যামনগরের উপক‚লীয় জনবহুল ও দুর্যোগ ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ী ভূমি থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ থাকলেও, বালু উত্তোলন কারীরা অবৈধ জেনেও দিনের পর দিন বালু উত্তোলন করছে বলে জানা যায়। কিছু সার্থনেষী মহল সরকারি নিষেধ না মেনে সরকারি অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে চলেছে।সরাজমিনে দেখাযায়, প্রকাশ্যে দিনের বেলায় দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুরের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি ও মাছের ঘের থেকে বরিং মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। পদ্মপুকুর বাজার থেকে পাতাখালির রাস্তার পাশ দিয়ে ৭-৮ টা বোরিং মেশিন বসিয়ে এই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করেছে মাসের পর মাস।
পদ্মপুকুর চন্ডিপুরে গ্রামের শফিকুল, বাবু, আতাউর, মেহেদীর ২ টা বরিং মেশিন, ব্রিজ মোড়ে একটা মেশিন, বাইন তলায় হযরতের ২টা মেশিন, ইউনিয়ন পরিষদের পাশে আবু তালেব, রজব আলীর ২ টা বরিং মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এসকল অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশের দিক দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে যেমন কৃষি জমি হারাতে বসেছে স্থানীয়রা ঠিক তেমনিই ইতিমধ্যে সরকারি রাস্তা স্কুল কলেজ ইউনিয়ন পরিষদ ধস নামা শুরু হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কিছু মিডিয়া ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। ওন্যদিকে পদ্মপুকুরে একটি দ্বীপ ইউনিয়ন, নদী ভাঙনের ভয় সব সময় আতঙ্কে ভিতর দিন পার করে এখানকার মানুষ।
তারপরেও প্রতিনিয়ত যে ভাবে বরিং করে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। তাতে করে ঝুঁকির মধ্যে থাকবে ইউনিয়নটি। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যাবহার করছে। কেও বসত ভিটা পুরুন করছে। আবার কেওবা মাঠ ভরাট করছে। অচিরাই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে কয়েক বছর পরে হারিয়ে যেতে পারে দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর। এলাকাবাসী জানান,যেভাবে আমাদের এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। যদি দ্রæত সময়ের ভিতর বালু উত্তোলন বন্ধ করা না যায়, তাহলে অচিরেই আমাদের ঘর বাড়ি ধ্বস নেমে বিলিন হয়ে যাবে। তখন আমরা কথায় বসবাস করবো।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা লির্ডাসের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল বলেন, পদ্মপুকুর যে ভাবে অপরিকল্পিত ভাবে কৃষি জমিতে থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। তাতে করে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে এছাড়া দ্বীপ ইউনিয়নটা এমনিতেই ঝুঁকির মধ্যে। সেভ দ্যা ন্যাচারের সাতক্ষীরার সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর কে বাঁচাতে হলে প্রথমেই অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
এবিষয় জানতে চাইলে বালু উত্তোলনকারী আবু তালেব বালু উত্তোলনের বিষয়টা অবৈধ স্বীকার করে এবং সবাইকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করে এমনটাই জানিয়েছেন। পদ্মপুকুর ইউনিয়ান ভূমি কর্মকর্তার সাথে কথা বলার জন্য তার অফিসে যাওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠো ফোনে বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টা তার জানা নেই। তারপরেও যদি বালু উত্তোলন করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহিদুল ইসলাম বলেন, শ্যামনগরে অবৈধভাবে ভূমি থেকে বালু উত্তোলন করার সুযোগ নেই। তালিকা অনুযায়ী অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।