আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ নেওয়াজ ডালিম বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে ইউনিয়নের সকল শারদীয়া দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে মনেপ্রাণে জড়িত এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে দীর্ঘকাল যাবৎ মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের গুরুত্ব পদে দায়িত্ব পালনকারী একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত এবং নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালনকারী চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কর্মঠ নেতা হিসাবে সুপরিচিতি লাভ করেছেন।
ইউনিয়নের সকল ধর্মের মানুষের পাশে থেকে সরকারের ভাবমূর্তিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে শান্তিময় ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন পূজা মন্ডপে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চেয়ারম্যান ডালিমসহ বক্তাগণ বলেন, তার কাছে ইউপি নির্বাচনে বারবার পরাজিৎ এবং জামানত হারানো প্রার্থী ও তার প্রতিহিংসা পরায়ণ সর্মকরা ইউনিয়নকে অশান্ত করে তুলতে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে। তারপরও তিনি শান্তি অটুট রাখতে কিছুদিন বাইরে অবস্থান করেছেন। আর এ সুযোগে ইউনিয়নের মানুষকে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের শত ভাগ বসবাস এলাকায় নানা অপকর্মের জন্ম দিয়ে তাদেরকে কষ্টকর পরিস্থিতির মুখে ফেলানো হয়েছে।
আমি এখন এলাকায় আসছি, প্রশাসনের মাধ্যমে আইন বাস্তবায়ন করিয়ে অপরাধীদেরকে কঠোর ভাবে দমন করা হবে। তিনি অপরাধী ও পরাজিত শক্তিকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, মিথ্যাচার করে বেশিদূর এগুনো যায়না, সত্য একসময় সামনে এসে দাঁড়ায়। আর তখন আপরাদের মুখোশ খুলে যাবে। ইতিমধ্যে মুখোশ খুলতে শুরু করেছে। চেয়ারম্যান ডালিম আবারো নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ করে বলেন, আমরা ইউনিয়নকে আ’লীগের ঘাটিতে পরিণত করেছি। এখানে অপশক্তির বাঁধতে দেওয়া হবেনা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, ইবাদুল মোল্যা, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, রামপদ সানা, হোসেন আলি, অনুপ কুমার সানা, মহিলা মেম্বার সন্ধ্যারানী ও তহমিনা বেগমের স্বামীসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার সাথে ছিলেন। তিনি বুধবার ৩টি পূজা মন্ডপ ও বৃহস্পতিবার ১১টি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি প্রদত্ব অনুদানের টাকা বাবদ প্রতিটি পূজা মন্ডপে ২০০০ টাকা করে এবং নিজস্ব অর্থ থেকে ৩০০০ টাকা করে মোট ৫০০০ টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।