নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আকস্মিক পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আশঙ্খা বিদ্যমান। স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন, আকবার আলী, মামুন হোসেন, আনিছুর রহমান, মনিরুল ইসলাম জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার অর্ন্তগত কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা সদরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। ইউনিয়নের ‘‘নাছরুল উলুম সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসাটি’’ ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র হিসেবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে অদ্যবধি ঐতিহ্যবাহী ভোট কেন্দ্র হিসেবে সুনামের সহিত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় দীর্ঘদিনের এই ভোট কেন্দ্রটি একটি অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আকস্মিক পরিবর্তন করা হয়েছে। কালিগঞ্জ সরকারি কলেজটি পরিবর্তিত কেন্দ্র হিসেবে ইতিমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী নাছরুল উলুম সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসাটিতে যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন দিক হতে সংযোগ সড়ক রয়েছে।
ফলে বয়স্ক ও বৃদ্ধ ভোটারদের জন্য একটি নিরাপদ ও উপযুক্ত ভোট কেন্দ্র হিসেবে সু-পরিচিত। এছাড়া সরকারি কলেজটি ২ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বশেষ সীমানায় অবস্থিত। নাছরুল উলুম সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রটি পরিবর্তনের ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানান তারা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার অনুজ গাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে কেন্দ্রটির অবকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর আমি ওখানে যেয়ে দেখি অবকাঠামোগত কোন সমস্যা নেই। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় জানান কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ। উনার সুপারিশটা বেশি কার্যকরি হয়েছে। এখানে আমার কিছুই করার ছিলো না। আমি রিপোর্ট পাঠিয়েছি বাদবাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার ও আমার জেলা স্যার কার্যকর করেছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলামে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আমার কোন এখতিয়ার নেই। জেলা নির্বাচন অফিসার যেটা ভালো মনে করেন সেটা করবেন। জেলা নির্বাচন অফিসার নাজমুল কবির জানান, আমি কেন্দ্রটিতে একবার গিয়েছিলাম। প্রয়োজনে আবারও সেখানে যাবো। উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন।