অক্টোবর ২৬, ২০২১
কুলিয়ায় নৌকার প্রার্থীকে নিয়ে অপপ্রচার, নির্বাচনি কাজে বাধা ও শেখ হাসিনাকে অবমাননার অভিযোগ আছাদুল হকের বিরুদ্ধে
মীর খায়রুল আলম: কুলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান আছাদুল হক। শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থীকে নির্বাচনী কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত করতে একের পর এক বিভ্রন্তিকর তথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। নৌকার পক্ষে কাজ করলে ভোটের পরে তাদেকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আসাদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে দেবহাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমি ১নং কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা প্রত্যাশী ছিলাম। জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক ভাবে তদন্ত সাপেক্ষে আমাকে দলীয় প্রতীক নৌকার মাঝি হিসাবে মনািেনত করেন। কিন্তু সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুল হক আমাকে এলাকার জনগনের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন মহল্লায় অপ্রীতিকর কথা বার্তা বলছেন। জননেত্রী নাকি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যার্থ হয়েছেন। এই কথাগুলো নেত্রীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরো বলেন, আছাদুল হক এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে এবং একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী। উক্ত মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে উক্ত মামলা স্থগিত করে রেখেছেন। গত ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সে সরাসরি নৌকা প্রতীকের বিরাধেীতা করেন। এমনকি নৌকার পরিবর্তে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে আনারস প্রতিকে জনগনের কাছে ভাটে চেয়ে মিটিং মিছিল ও সভা সমাবেশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৯ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের তফসিল মোতাবেক কুলিয়া সহ দেবহাটা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমি দীর্ঘদিন কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করায় জনগনের অনুরোধে নির্বাচনে নেমেছি। আমি ছাড়াও কুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আছাদুল হকসহ একাধিক ব্যাক্তি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সততা, যোগ্যতা ও জনসমর্থন সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ২২ অক্টোবর আমাকে কুলিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেন। পরবর্তীতে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আমার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আছাদুল হক শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে অবমাননা এবং পাড়া মহল্লায় গিয়ে আমার সম্পর্কে অপ্রীতিকর, উষ্কানিমুলোক আলোচনার পাশাপাশি অব্যহতভাবে আমার নির্বাচনী কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্তের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি তদন্ত স্বাপেক্ষে তার এই অপপ্রচারের প্রতিকার চাই। 8,981,998 total views, 8,250 views today |
|
|
|