Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে দেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: একগৃহবধুকে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে মেরে ফেলার পর আত্মহত্যার প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসনপাতালে নিয়ে আসার পর তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত গৃহবধূর নাম সুমাইয়া পারভীন। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের আছির উদ্দীনের মেয়ে ও কলারোয়া উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।
সুমাইয়ার বাবা আছিরউদ্দিন ও বাঁশদহা ইউপি সদস্য আহসান উদ্দীন জানান, তিন বছর আগে সুমাইয়ার সাথে বিয়ে হয়েছিল কলারোয়া উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলমগীরের সাথে। বিয়ের পর থেকেই তার ওপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাতো স্বামী আলমগীরসহ তার পরিবারের লোকজন। কয়েকবার মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হয়।

এ নিয়ে বারবার সালিশ বিচার হয়েছে। সর্বশেষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে মেয়েটিকে নির্যাতন না করার অঙ্গীকার পাওয়ার পর তাকে শ্বশুর বাড়ি পাঠানো হয়। এরপরও যৌতুকের দাবিতে তাকে নির্যাতন করা হতো। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে মারপিট ও নির্যাতন চালিয়ে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামীসহ শ^শুরবাড়ির লোকজন। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনার পর তার স্বামী ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আলমগীর পালিয়ে যায়। তারা আরো জানান, এ ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক রাশেদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে সুমাইয়া পারভিনের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version