সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি: শ্যামনগর জনবহুল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।সরকারি বিধি অনুযায়ী ভূমি থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ থাকলেও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সরকারি নিষেধ না মেনে অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে চলেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকাশ্যে দিনের বেলায় ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটি থেকে গ্যারেজের রাস্তা নির্মাণে কদমতলা খাল থেকে দুইটা বোরিং মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
নির্মাণকৃত রাস্তার ১০০ গজ দুর থেকে অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন করছে বালু উত্তোলন কারি শ্যামনগরের বি এন পির প্রভাশালী নেতা ঠিকাদার আশেক ইলাহি মুন্না। প্রভাব খাটিয়ে তিনি বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। কদমতলা খালের পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে বহু জনবসতি। খালের দুই পাশ দিয়ে রাস্তা চলে গেছে যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের চলাচল। এমন কি অনেক ভূমিহীনরা খালের ভিতরে ঘর বেঁধে বসবাস করছে। অবৈধ বালু উত্তোলন করার কারণে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদেরও। যে কোন মূহুর্তে ধস নেমে বিলীন হতে পারে রাস্তা সহ ভূমিহীনদের বসভিটা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ভূমিহীন ও এলাকা বাসী জানান, বসবাস করার মত জায়গা না থাকায় খালের মধ্যে ঘর বেধে বাস করি। আমাদের বাড়ির পাশের খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে রাস্তা করছে। যদি বালু উত্তোলন বন্ধ না করা যায় তাহলে আমাদের ঘর বাড়ি ঘর ধসে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা কোথায় বসবাস করব। এবিষয় জানতে ঠিকাদার আশেক ইলাহি ম্ন্নুার ফোনে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, আমি যেয়ে বালু তোলা বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরেও যদি বালু উত্তোলন করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্যামনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহিদুল ইসলাম বলেন, শ্যামনগরে অবৈধভাবে ভূমি থেকে বালু উত্তোলন করার সুযোগ নেই নায়েব পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে দিয়েছি।