সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি হাছিম গং কর্তৃক অপহৃত ছোট ভাই আলমগীরকে দ্রæত উদ্ধার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বড় ভাই আয়জুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আয়জুল ইসলাম শ্যামনগর উপজেলার জাবাখালী গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা ৮ ভাই প্রত্যেকই কাজ কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করি। ভাইদের মধ্যে আমি সাতক্ষীরা শহরের বসবাস করি। আমার এক ভাই সাইফুল ইসলাম ভোমরা পোর্টের শ্রমিকের কাজ করে। গত ৮ সেপ্টেম্বর আমার ভাই সাইফুল স্ব-পরিবারে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাবাখালী নতুন বাজারে বসে গল্প করার সময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে গোমনতালী গ্রামের গোলাম মোস্তফার পুত্র সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হাছিম সরদার, একই গ্রামের রবিউল ইসলাম, আটুলিয়া চরের ইব্রাহিম সানা, আবাদ চন্ডীপুর গ্রামের ইয়াছিন মোল্ল্যাসহ কয়েকজন আমার ভাই সাইফুলের উপর হামলা করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে আমার ছোট ভাই আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের কাছ থেকে আমার অপর ভাই সাইফুলকে উদ্ধার করতে গেলে উক্ত হামলাকারীরা তাকেও মারপিট করে।
হামলাকারীরা এ সময় সাইফুলের মোটরসাইকেল ভাংচুর করতে গেলে আলমগীর এতে বাধা দেওয়ায় তারা প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে তাকে জিম্মি করে। এসময় গামছা দিয়ে আলমগীরের চোঁখ বেধে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখঁজি করে তার কোন সন্ধান না পেয়ে শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এ ঘটনার ৪দিন পর আমরা কোন উপায় না পেয়ে বিজ্ঞ আমলী ৫ নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আদালত বিষয়টির তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী হাছিম সরদার ও রবিউলগং আমার ভাইকে হত্যা ও গুমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে বাজার থেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৯ দিন অতিবাহিত হলেও আমার ভাইয়ের কোন সন্ধান এখনও পাইনি। এদিকে তাকে না পেয়ে আমার বৃদ্ধা পিতা-মাতা অবিরাম চোখের পানি ফেলছেন। আমরা সাত ভাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছি। তিনি আরে বলেন, আসামিদের মধ্যে হাছিম সরদার ও রবিউল ইসলাম চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও হত্যাসহ প্রায় ১৩/১৪ টি মামলার আসামি। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। উক্ত সন্ত্রাসীরা বর্তমানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সময় আয়জুল ইসলাম উক্ত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তার অপহৃত ছোট ভাই আলমগীরকে দ্রæত উদ্ধারসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।