Site icon suprovatsatkhira.com

বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে দেবহাটার মাঠে মাঠে চলছে পার্চিং উৎসব

মীর খায়রুল আলম: ধান লাগিয়ে ক্ষেতে যদি ডাল পুতে দাও, পাখি বসে ধরে খাবে মাজর পোকার দাও, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেবহাটার মাঠে মাঠে পার্চিং উৎসব পালিত হচ্ছে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনের লক্ষে পার্চিং উৎসব পালিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। স্ব স্ব ইউনিয়ন বøক সুপারভাইজারগন স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে ফসলের ক্ষেতে যেয়ে গাছের ডাল ও বাঁশের তৈরী পার্র্চিং বসিয়ে কৃষকদের উদ্ভদ্ধ করেন। পার্চিং এর উপকারিতা নিয়েও কৃষকদের পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা। স্থানীয় কৃষক রাজ আহম্মেদ জানান, জমিতে পার্চিং করার ফলে বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ দূষণমুক্ত হয় যা আগে জানতাম না। এখন শিখেছি এই ক্ষতিকর পোকাÍমাকড়ের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। উপকারী পোকার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি জমিতে জৈবসার হিসেবে পাখির বিষ্ঠা যোগ হয়। এতে জমির উর্বরতা বাড়ে। এই পদ্ধতি খুব উপকারে আসে কৃষকের।

দেবহাটা সদর ব্লকের উপÍসহকারী কৃষি অফিসার মোস্তফা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, ‘পার্চিং’ অর্থাৎ ডাল পোঁতার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ধানের ক্ষতিকর পোকা নিয়ন্ত্রণ করা। এ জন্য জমিতে গাছের শুকনো ডাল, খুঁটি বা বাঁশের কঞ্চি পুঁতে রাখতে হয়। এতে ফিঙেসহ বিভিন্ন পাখি এসে বসে। সে সাথে অনিষ্টকারী পোকা খেয়ে ফসলকে সুরক্ষা করে। পরিবেশবান্ধব এ প্রযুক্তি ব্যবহারে বালাইনাশকের ব্যবহার হ্রাস পায়। পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন খরচও সাশ্রয় হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মাদ তিতুমীর জানান, নিরাপদ ফসল উৎপাদনে পার্চিং’র কোনো বিকল্প নেই। এ কাজের সুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তিনি উপসহকারি কৃষি অফিসারবৃন্দের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। তিনি জানান, উপজেলার প্রতি ব্লকেই পার্চিং উৎসবের কার্যক্রম চলমান থাকবে। একই সাথে কৃষকÍকৃষাণীরাও সেখানে উপস্থিত থাকছে। এতে সচেতনা বাড়ছে এবং পার্চিং ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version