মীর খায়রুল আলম, নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালিতে দখলদার ও ভূমিহীনদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিয়ে জমির মালিকানা নিয়ে পৃথক দাবী উঠেছে। ওই জমি সম্প্রতি দখল করে নিয়ে ভূমিহীনরা বলছে জমি তাদের। অন্যদিকে একটি ধনাঢ্য পক্ষ সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন মহলে দাবি করে বলেছে ওই জমি তাদের। এখন জমির প্রকৃত মালিক করা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা তাদের পূর্বপুরুষের সুত্র ধরে প্রজা মূলে এবং ডিএস বলে নিজেদের জমি দাবি করছেন। এরই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে খলিশাখালি সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অন্তত কয়েকশ পরিবার ওই জমির দখল নেন। দখলদারদের হটিয়ে ১৩’শ বিঘা সম্পত্তির মধ্যে থেকে কমপক্ষে এক হাজার বিঘা বিলান জমি ও মৎস্য ঘেরের দখল নিয়েছেন ভূমিহীনরা। খলিশাখালির বিস্তৃর্ন এসব জমি সরকারি সম্পত্তি উল্লেখ করে গত কয়েক যুগ ধরে তা বন্দোবস্তের দাবি করে আসছিল ভূমিহীনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৪৭ সালের দিকে জমির সিএস মালিক ইশ্বরচন্দ্র ঘোষের ছেলে চন্ডীচরণ ঘোষ খলিশাখালির ৪৩৯.২০ একর (এক হাজার তিনশত বিশ বিঘা) জমি প্রজাদের জন্য ফেলে রেখে ভারতে চলে যায় এবং সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। এরপর দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন হাত বদল হয়ে ঐ জমি দখলে নেন দেবহাটার শিমুলিয়ার আব্দুল মালেক ওরফে মালেক কাজী। পরবর্তীদের তাদের উত্তরসূরি মিলিয়ে ১-২’শ ব্যক্তি খলিশাখালির ওই বিস্তৃর্ন সম্পত্তিতে চিংড়ি ঘের করে আসছিল।
২০১৭ সালে পারুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী সুধীর কুমার সরকার তার এক লিখিত প্রতিবেদনে খলিশাখালির অবৈধ দখলদার হিসেবে সাতক্ষীরার কামালনগরের শামছুর রহমানের ছেলে বশির আহম্মদ (৮০ বিঘা), দেবহাটার শিমুলিয়ার আব্দুল মালেক ওরফে মালেক কাজীর দুই ছেলে কাজী গোলাম ওয়ারেশ ও কাজী আব্দুর রফিক (৩০০ বিঘা), তার তিন মেয়ে কামরুন্নাহার, বদরুন্নাহার ও আদরুন্নাহার (১৫০ বিঘা), সখিপুরের আব্দুল করিমের ছেলে আইডিয়ালের পরিচালক নজরুল ইসলাম ও মিনহাজ উদ্দীন কারিকরের ছেলে আব্দুল মজিদ (১২০ বিঘা), সখিপুরের হাজী কেয়ামদ্দীনের ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ওরফে সালামতুল্যাহ গাজী (১২০ বিঘা), একই গ্রামের আব্দুল মজিদ, আব্দুল আজিজ এবং আব্দুল গফফার (৪০ বিঘা), সখিপুরের ফজর আলী গাজীর ছেলে আনছার আলী ও মোকছেদ আলী (৪০ বিঘা), মান্দার বকস এর ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০ বিঘা), আবুহারের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০ বিঘা), শিমুলিয়ার হায়াত আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান গাজী (১০০ বিঘা), পারুলিয়ার বাদশা মল্লিকের ছেলে ফরিদ হোসেন (২৪ বিঘা), খলিশাখালির মতিয়ার সরদারের ছেলে মোকছেদ সরদার (২০ বিঘা), গাজীরহাটের আনছার আলী আমিন’র ছেলে আব্দুল মজিদ (২০ বিঘা), সখিপুরের রাজাউল্লাহ সরদারের তিন ছেলে শফিকুল, এবাদুল ও আলম (৪০ বিঘা), পারুলিয়া সেকেন্দ্রার নেছার আলীর তিন ছেলে মৃত জামাত আলী, আমানাত আলী, জাহান আলী, ভাদড়ার আজিম সরদার ওরফে আজিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল দারোগা (৯০ বিঘা), খেজুর বাড়িয়ার খলিলুর রহমান মিস্ত্রির ছেলে আনারুল ইসলাম (৯ বিঘা), সখিপুরের মৃত রহমতুল্যাহ গাজীর ছেলে আব্দুস সালেক (১৫ বিঘা), খলিশাখালির হাজের সরদারের ছেলে বাবু (১০ বিঘা), একই গ্রামের জামাত আলীর ছেলে নুর ইসলাম (১০ বিঘা), বাছতুল্যাহ মোড়লের ছেলে আব্দুর রহিম মোড়ল (৫ বিঘা), আছিমদ্দিন গাজীর ছেলে বাবু ও খোকন (১০ বিঘা) এবং সিরাজুলের ছেলে খোকন (৫ বিঘা) জমি ভোগদখল করছে বলে উল্লেখ করেন।
ইতোপূর্বে উক্ত সমূদয় সম্পত্তি সরকারি খাস জমি উল্লেখ করে সাতক্ষীরা জজকোর্টের সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট গাজী লূৎফর রহমান সহ দুই আইনজীবীকে রিসিভার দেন আদালত। পরে রিসিভার বাতিল জানালে উচ্চ আদালত রিসিভার আদেশ স্থগিত সহ নালিশী জমির নেচার অ্যান্ড ফেচার এবং দখলের ওপর স্ট্যাটাসকো আদেশ দেন। একই সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রনালয়কে নালিশী ৪৩৯.২০ শতক জমি আইনানুসারে কন্ট্রোল ও ম্যানেজমেন্টের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
এদিকে, গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেবহাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দখল হওয়া জমি ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সখিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, খলিশাখালীতে রেকর্ডীয় মালিকানা ৪৩৯.২০ একর জমি স্থানীয় ভূমিহীন নামধারী সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু কর্তৃক, অবৈধভাবে জবর দখল করে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানায় সহযোগী চেয়ে কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। পরে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। তিনি আরো বলেন, পারুলিয়া মৌজার খলিশাখালী নামীয় ৩০টি খন্ডে বিভক্ত যা গত ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত্র আনুমানিক ২টার দিকে আমাদের লীজ গ্রহীতা সহ নিজেদের চাষাবাদকৃত জমিতে অবৈধভাবে দখল করে। এতে আমাদের ঘের হতে আনুমানিক ৪ কোটি টাকার মাছ লুটপাট করে নিয়েছে এবং ঘেরে বাসা বাড়ি ভাংচুর করে আনুমানিক ৩৬ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করেছে। বিষয়টি নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা কোর্টে মামলা দায়ের করি। আদালত মামলা গ্রহন করে বিপিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত জমির রেকর্ডীয় জমি ১৮১২ নং সিএস খতিয়ানে ১১১৭৫ নং দাগ সহ ২৭টি দাগে উপরে উল্লেখিত ৪৩৯.২০ একর জমির সিএস মালিক চন্ডিচরণ ঘোষ। সেখান থেকে বিভিন্ন কোবলা দলিল, পাট্টা দলিল ও কোর্টের রায় অনুযায়ী নিলাম খরিদ মোতাবেক এসএ ২৯৬২ থেকে ২৯৮০ খতিয়ানে রেকর্ড প্রকাশের পূর্বে কলিকাতা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ০৪/০৩/৫৩ তারিখের ৬৯৪ নং বিনিময় দলিল মূলে দেবহাটা থানার শিমুলিয়া গ্রামের তেজেন্দ্র নাথ চৌধূরীর পুত্র সুরেন্দ্রনাথ চৌধূরী এর সাথে বিনিময় করেন। এসএ রেকর্ড পরবর্তী উক্ত বিনিময় দলিলের গ্রহীতা কাজী আব্দুল মালেক এর ওয়ারেশ গণ সহ ক্রমিক হস্থান্তর সূত্রে অপারপর মালিকগণ বর্তমান বিএস জরীপে রেকর্ড প্রাপ্ত হন এবং তৎপরবর্তী প্রিন্ট পর্চা সহ প্রায় ৩০০ মালিক এর নামে প্রায় ২০০টি পর্চায় উক্ত সমুদয় সম্পত্তি গেজেট প্রকাশিত হয় এবং তন্মধ্যে অনেক মালিকগণের হালসন পর্যন্ত খাজনা পরিশাধে করা হচ্ছে।
এছাড়া আমাদের জমি দখল করার জন্য সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ১৮/২০১০ নং জনৈক জনাব আলী একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার স্বত্বের কোন বিচারক কার্যক্রম শুরু না করে বাদীপক্ষ আদালতে প্রভাব বিস্তার করে নিজস্ব ব্যক্তিবর্গের নামে রিসিভার গ্রহণ করে। আমরা অর্থাৎ বিবাদী পক্ষ তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করি যার নং-২১৬/১২ এবং ২৫৬৮/১৭ নং কেসের আদেশের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক মহামান্য হাইকোর্ট রিসিভার বিষয়ক বিচার কার্য সম্পন্ন করেন। সেখানে মূল মামলা ১৮/২০১০ খারিজ করা হয় এবং নিম্ন আদালত কর্তৃক রিসিভার বাতিল করা হয়। পরে বিবাদী পক্ষ হাইকোর্টের আদেশ জেলা যুগ্ম জজ আদালতে দাখিল করলে শুনানী অন্তে মূল মামলা খারিজ করে দেন এবং রিসিভার বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে বাদী পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আপীল দায়ের করলে শুনানীতে জেলা প্রশাসক উক্ত সম্পত্তির স্বত্ব প্রচারের জন্য নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মামলা চলাকালীন সময়ে উক্ত সম্পত্তি জেলা প্রশাসক আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। যেহেতু উক্ত সম্পত্তির সিএস রেকর্ড থেকে এসএ এবং বিএস রেকর্ডের প্রিন্ট পর্চা প্রকৃত মালিকদের নামে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, সেহেতু সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদী পক্ষ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিচারাধীন আছে। যার নং ১৬৮/২১। যেহেতু উক্ত সম্পত্তিতে ১৯৫৩ সাল থেকে সিএস, এসএ রেকর্ড এবং প্রিন্ট পর্চা সহ গেজেট প্রকাশিত হয়েছে এবং ১৯৫৩ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় ৭০ বৎসর নিরবিছিন্নভাবে বিবাদীপক্ষ ভাগে দখলে আছে। সেহেতু অন্য কোন পক্ষের উক্ত সম্পত্তিতে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ভূমিহীনদের উপস্থিতিতে খলিশাখালি এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে ভূমিহীনরা সরকারি জমিতে তাদের অধিকার দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাদের জমি ইতিপূর্বে বিভিন্ন ব্যক্তি জোর করে দখল রেখে ভোগ করছিল বলে দাবি করেন।
হরিপদ স্বর্ণকারের ছেলে সুনিল স্বর্ণকার জানান, দেশ বিভাগের আগে গাতীদার চন্ডিচরণ ঘোষের প্রজা ছিলেন তার পূর্বপুরষেরা। তারই সুত্র ধরে প্রজা মূলে ডিএসি কোবলা, পাট্টা দলিল গ্রহণ করেন সে সময়ের প্রজারা। ১৯৫২ সালে সুরেন চৌধুরী মালেক কাজীদের সাথে কিছু জমি বিনিময় হয়। এরপর ১৯৫২ সালে কাজীরা জাল কাজ করে জমি দখল করতে শুরু। তারপর ১৯৫৩ সালে কাজীরা নতুন করে আরো অনেক জমি লিজ নিতে শুরু করে। এমনকি প্রজাদের উচ্ছেদ করার লক্ষে বিভিন্ন শুরু করে কাজীরা। পরে এক রাতে নদীর বাধ কেটে দেয় আর এতে প্রজাদের ঘরবাড়ি নদীতে ভেঁসে যায়। বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন প্রজারা। এর আগে ১৯৫২ সালে কাজীরা তাদের বাড়িতে নায়েবকে বসিয়ে এসএ করে নেয়। পরবর্তীতে কাজীরা উক্ত জমি তাদের নামে জাল দলিল করে বিভিন্ন জনের নিকট বিক্রি শুরু করে। বর্তমানে যারা জমির মালিক বলে দাবি করছেন তাদের ডিএস নেই। আমার ঠাকুর দাদার সূত্রে আমরা ৩৬ বিঘা জমির মালিক। আমাদের মত তাহের সানা, মহাদেব সরদার, নবীন বিশ্বাস সহ অনেক ব্যাক্তি মোট ৪২ একর ৫৭ শতক জমির মালিক। যা আমরা সুপ্রীম কোর্টের রায়ে জমির মালিকানা প্রাপ্প। কিন্তু আমাদের জমি জোর করে একটি শ্রেণি দখল করে খাচ্ছে। তাই আমরা ঐ জমিতে শান্তিপূর্ণ বসবাস করার চেষ্টা করছি তখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছেন।
বিষয়টি নিয়ে পারুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোস্তফা মনিরুজ্জামান জানান, আমি পারুলিয়ায় যোগাদান করার আগে একটি প্রতিবেদন দেখছিলাম সে সময়ের কর্মকর্তারা একটি রিপোর্ট তৈরী করেছিল। তাছাড়া নতুন করে জমি দখলে নেওয়ার বিষয়ে আমাদের জানা ছিল না। তাছাড়া বর্তমানের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের কোন জানার নেই বলেও জানান তিনি। সব বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগন যে ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানাবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জমি সরকারের কি ব্যক্তি মালিকানা সেটি তার জানা নেই বলে জানান এ কর্মকর্তা। স্যারেরা বলতে পারবেন জমি কার।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, জমি দখলের বিষয়ে কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে এসে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। বর্তমানে সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। তাছাড়া জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ ডিসি মহোদয়ের বিষয়। তিনি সঠিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। তবে ইতোমধ্যে আদালত থেকে ১৪৫ ধারা জারির একটি নির্দেশ পেয়েছি। সেখানে উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে, ১৫ সেপ্টম্বর সাতক্ষীরা আদালতে কালিগঞ্জ উপজেলার মৃত সত্যচরণ মন্ডলের ছেলে বিজয় কৃষ্ণ মন্ডল (৬২) এর দায়ের করা পি-৭১৩/২১ নম্বর মামলায় একটি রায় প্রকাশ হয়েছে। যেখানে উভয় প্রক্ষকে নালিশী সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ১০/১১/২০২১ তারিখে ২য় পক্ষকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সবমিলে সবাই মুখ চেয়ে বসে আছেন জেলা প্রশাসকের নির্দেশের অপেক্ষায়। জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন উভয় পক্ষ। তবে উভয় পক্ষ সঠিক ও সুষ্ঠ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।