নুরুল ইসলাম,খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের ধানুকী পাড়ায় অবস্থিত প্রায় ১শ ১০বছর আগে প্রতিষ্ঠিত তুয়ারডাঙ্গা সার্বজনীন রাধা কৃষ্ণ মন্দিরটি সংস্কার পূর্বক আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তুয়ারডাঙ্গা রাধা কৃষ্ণ মন্দির পরিদর্শন শেষে জানা যায়,প্রায় ১শ ১০ বছর আগে তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের স্বর্গীয় পঞ্চরাম ধানুকীর পিতা এলাকায় পূজা পার্বণের জন্য এই রাধা কৃষ্ণ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। পঞ্চরাম ধানুকীর পিতার মৃত্যুর পর তিনি নিজেই তার জীবদ্দশায় এই মন্দিরের দেখাশুনার কাজ করতেন। পঞ্চরাম ধানুকীর মৃত্যু হলে তার পুত্র কৃষ্ণপদ ধানুকী ২বিঘা জমি মন্দিরের নামে দান করে পাশ^বর্তী রাষ্ট্র ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। শতবর্ষী এ মন্দিরের পলেস্তরা খসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
পাশেই আরও একটি শিব মন্দির আছে। এই মন্দির গুলো বহু দিন আগে নির্মাণ হওয়ায় জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। শিব মন্দিরের জানালায় কাঠের দরজার পরিবর্তে নেট জাল দিয়ে ঘেরা অবস্থায় আছে। মন্দিরগুলো সরকারিভাবে সংস্কার পূর্বক আধুনিক দৃষ্টিনন্দন মানসম্মত মন্দির নির্মাণ করা হলে একদিকে ধানুকী পরিবারের ইতিহাস ঐতিহ্য অনেকে জানতে পারবে অপর দিকে পুরোহিত,পূজারি,ভক্তবৃন্দের আরও আগমন বাড়বে বলে স্থানীয়রা এ প্রতিবেদককে জানান।
এ বিষয়ে বর্তমান রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃত তারক নাথ বৈদ্যর পুত্র হরিপদ বৈদ্য জানান,শতবর্ষী এ রাধা কৃষ্ণ মন্দিরটি সংস্কার প্রয়োজন। তিনি আরও জানান প্রতি বছর এখানে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বহু ভক্তবৃন্দের এখানে আগমন ঘটে। এখানে ইতিমধ্যে ১০লক্ষ টাকা ব্যয়ে সরকারিভাবে একটি মঞ্চ নির্মাণ হচ্ছে। মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলমান আছে। আমরা মন্দির কর্তৃপক্ষ মঞ্চ নির্মাণের পাশাপাশি মন্দিরটি সংস্কারের আবেদন জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জানান,তুয়ারডাঙ্গা রাধা কৃষ্ণ মন্দিরটি বহু পুরাতন একটি মন্দির। মন্দির উন্নয়ন কল্পে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাবিখা প্রকল্প থেকে ২০১৬-১৭ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১টন করে চাউল দিয়েছিলাম। সর্বশেষ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ১০লক্ষ টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুসজ্জিত মঞ্চ ইউনিয়নের একমাত্র এই মন্দিরেই নিয়মাধীন আছে।
মঞ্চ নির্মাণের পাশাপাশি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন মন্দির নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসী।