তালা প্রতিনিধি: তালার ঘোনা গ্রামের ১০ম শ্রেণি পড়–য়া এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়েছে। এঘটনায় ধর্ষক ও ধর্ষকের স্কুল শিক্ষিকা আত্মীয় সহ ৮/৯জনের বিরুদ্ধে তালা থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ধাঁমাচাঁপা দিতে ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা দফায় দফায় ভিকটিম ও তার পরিবারকে হুমকি প্রদান সহ মোটিভ ঘোরাতে ব্যপক তৎপরতা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণ শিকার স্কুল ছাত্রী (১৬) এর পিতা জানান, পাশ্ববর্তী সুজনশাহা গ্রামের মশিয়ার রহমান শেখ’র বখাটে ছেলে জাহিন শেখ (২০) বিভিন্ন সময়ে তার মেয়েকে কূ-প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি জানতে পেরে জাহিনের পিতা ও মাতাকে অবহিত করি। কিন্তু তারা ঘটনার প্রতিকার না করে উল্টো অশ্লিল গালিগালাজ সহ হুমকি প্রদান করে।
ওই পিতা বলেন, পিতা-মাতার উস্কানি পেয়ে লম্পট জাহিন তার ৪/৫জন বন্ধুকে নিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর রাতে কৌশলে তার শিশু মেয়েকে অপহরণ করে। পরদিন সকাল ১১টার দিকে মেয়ে একা বাড়িতে ফিরে ধর্ষণের কথা জানায়।
ভিকটিম শিশু জানান, ওই রাতে জাহিন সহ তার ৪/৫জন বন্ধু তাকে অপহরণ করে আঠারোমাইল এলাকার দিকে তার এক খালার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই খালাবাড়ির লোকদের সহযোগীতায় জাহিন রাতে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি করার কথা বললে জাহিন তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে। একপর্যায়ে জাহিনের পিতা, মা, ও খালা ঘোনা গ্রামের জমির উদ্দীন শেখ’র মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তমা খাতুন এসে ওই শিশু মেয়েকে মারপিট করে এবং নানান হুমকি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
নির্যাতন শিকার স্কুল ছাত্রীর প্রতিবেশি এক দাদা জানান, ধর্ষণ ও মারপিটের ঘটনা জানার পর থানায় মামলা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ধর্ষকের পরিবার সহ এলাকার এক রাজনৈতিক নেতা এবং প্রভাবশালী মহল নানান হুমকি দিতে থাকে। এমনকি ঘটনাটি ধাঁমাচাঁপা দিতে নানান ছলচাতুরি করতে থাকে। পরবর্তীতে গ্রামের মানুষের সহযোগীতায় ভুক্তভোগী মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় ধর্ষক জাহিন শেখ, তার পিতা মশিয়ার রহমান, মা ইয়াসমিন খাতুন ও খালা তমা খাতুনকে সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জনকে আসামি করা হয়েছে।
এব্যপারে তালা থানার ওসি মো. মেহেদী রাসেল বলেন, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ পূর্বক ধর্ষণ, মারপিট ও হুমকি প্রদানের ঘটনায় থানায় মামলা (১১/২১) হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা থেকে ভিকটিম শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো সহ বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট’র নিকট ২২ধারার জবানবন্ধী রেকর্ড করানো হয়েছে।