বাপ্পী সরকার, চাম্পাফুল প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের চাম্পাফুল ইউনিয়নে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। দম ফেলার ফুৎরত নেই তাদের। সময় পেরুনের সাথে সাথে প্রতিমা শিল্পীদের বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততাও। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হলো শারদীয় দুর্গাপূজা। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে। এরই ধারাবাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দুর্গা উৎসব উদযাপন করেন। আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নে প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা।
কাশফোটা শিউলি শরতেই এই শারদীয় দুর্গা উৎসব। আর এই উৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু ধর্মের নারী-পুরুষ সব বয়সী মানুষ শারদীয় দুর্গাপূজাকে সার্থক করতে এখন প্রহর গুনছেন। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুুতি চলছে প্রতিটি পূজামন্ডপে।
চাম্পাফুল ইউনিয়নের বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়ন সভাপতি ঠাকুর দাশ সরকার জানান, এ বছর ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য’র সাথে উদযাপন হতে চলেছে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব। চাম্পাফুল ইউনিয়নে ৬টি মÐপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে কালিবাড়ী একটি, সাঁইহাটি একটি, ঘুশুড়ী দুইটি, ও থালনা একটি, ও কুমারখালী একটি। আরও বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে দ্রæতগতিতে।
ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও খড় দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। আবার কোথাও শিল্পীর সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাচ্ছেন মা দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিব মূর্তি। কোনো কোনো মূর্তিতে পরানো হয়েছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না। দেবী দুর্গা আগমন হবে ঘোড়ায় চড়ে আর প্রস্থান হবে দোলায় চড়ে। সনাতন ধর্মালবম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে ১১ অক্টোবর। ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গা উৎসব।