Site icon suprovatsatkhira.com

কালিঞ্জের চাম্পাফুলে ভূমিহীন বিধবাকে মারপিট, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে

কালিঞ্জের চাম্পাফুলে ভূমিহীন এক বিধবা অসহায় নারীকে মারপিট, বাড়ি ভাংচুর পূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুূল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কালিগঞ্জের বারদহা গ্রামের মৃৃত মনিরুল ইসলামেন স্ত্রী জাহানারা খাতুন । লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি ২০/২৫ বছর পূর্বে স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে বৃদ্ধা মাতা ও দুই সন্তান নিয়ে কালিগঞ্জের বারদহা এলাকায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি পুত্র সন্তানের বিবাহ দেওয়ার জন্য আরেকটি ঘর নির্মাণের চেষ্টা করতে গেলে নজর পড়ে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের। তারা চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজামকে দিয়ে উক্ত ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করেন। এক মাত্র ছেলে আবু সাদেক ও একমাত্র মেয়ে আফরোজাকে নিয়েই আমার সংসার। দ্বীন মজুরী করেই সংসার চলে।

মেয়েটি ইতোমধ্যে বিয়ে দিয়েছি আর ছেলেটির বিয়ে দেওয়ার জন্যই ঘরটি তৈরি করছিলাম। মাস খানেক আগে ঘর করার শুরুতেই স্থানীয় প্রতিবেশি প্রতিপক্ষরা পেছনের এক ঘর বাসিন্দার জন্য চলাচলের রাস্তা বন্ধ হবে এমন আশংকায় কাজে বাঁধা দেয়। শুধু তাই নয়, গত ৫ আগস্ট ঘরের কাজ করার সময় প্রতিবেশী রেজাউল সরদার, উজ্জল, রাজু , মারুফা বেগম, রোকেয়া বেগম ও রুপা খাতুনসহ তার পরিবারের উপর হামলা ও মারপিট করে। এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশি তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলেও চেয়ারম্যানের কারণে মামলা নেয়নি। এরপর ফের ঘরের কাজ শুরু করলে তারা পানি উন্নয়ন বোডের এসওকে জানায় এবং চেয়ারম্যানের নির্দেশে দিন রাত সেখানে দফাদার ও চৌকিদারসহ অন্যান্য লোকজন বসিয়ে রাখে। গত ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এসও আব্দুল খালেকের নির্দেশে তারই কার্য সহকারী জয়ন্ত দাঁড়িয়ে থেকে চাম্পাফুল ইউনিয়নের দফাদার তপন কুমার দে, চৌকিদার শীবপদ সরকারসহ স্থানীয় প্রতিপক্ষরা নির্মিত আংশিক পাকা ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। তার নির্দেশে স্থানীয় প্রতিপক্ষ রেজাউল, আবুল, উজ্জল, নজু, রেবেকা, মারুফা ও রুপাসহ অনেকেই ঘর ভাঙার কাজে অংশ নেয়। দফাদাররা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে বলেছিল টাকা দিলে আমার এখানে আসবো না। এছাড়া এসও খালেক ও জয়ন্ত দুইজনে একলক্ষ টাকা চেয়েছিল।

টাকা দিলে তারা আর এখানে আসবো না। আমি টাকা দিতে না পারায় আমার বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। চেয়ারম্যান মোজাম নিজেই কালিগঞ্জের উজিরপুর বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ করে ভোগদখল করে যাচ্ছেন। ওই তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ইসলামী ব্যাংক তৃতীয় তলায় একটি এনজিও এবং নীচ তলায় নিজস্ব কার্যালয়। পাউবোর এসও সেখানে দেখতে পায়না। এমন কয়েকশ’ পাকা বিল্ডিং তৈরি হলেও কোন জায়গায় বাঁধা দেয়নি এসও। যত আইন সব কি শুধু মাত্র আমাদের মত অসহায় গরিব মানুষ গুলোর ক্ষেত্রে। এছাড়াও চম্পাফুলের বিভিন্ন স্থানে নদীর জমি, খাস জমি দখল করে ভোগ দখল করে যাচ্ছেন মোজাম চেয়ারম্যান। আর সেখানে মাত্র ৩ শতক সম্পত্তি সেখানে সন্তানদের নিয়ে মাথা গোজার ঠাঁই নিয়েছিলাম। সেটি যেন এসও খালেক ও চেয়ারম্যানের চোখের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তিনি বাড়ির ঘর ভাংচুর মারপিটের ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version