Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে বিষপানে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট : বিয়ের দিনে দেয়া হয়েছে যৌতুকের ৬০ হাজার টাকা। এরপর ৭ বছরের সংসার জীবনে পর্যায়ক্রমে দেয়া হয়েছে যৌতুকের আরো ৪৫ হাজার টাকা। আবারো ৫০ হাজার টাকা যৌতুক ও একটি গরু কিনে দিতে না পারায় খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ^াশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ মোছা. মর্জিনা খাতুন (২৬) শ্যামনগর উপজেলার ইশ^রীপুর ধুনঘাট এলাকার মো. মজিবর গাজীর মেয়ে ও কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ল²ীনাথপুরের মো. নজরুল সরদারের স্ত্রী।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাই মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘প্রায় ৭ বছর আগে কালিগঞ্জের ল²ীনাথপুরে মৃত নূর আলী সরদারের ছেলে মো. নজরুল সরদারের সাথে আমার বোনের পারবিারিকভাবে বিয়ে হয়। বোনের গায়ের রং কালো হওয়ায় বিয়ের দিনে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে নেয় তারা। এরপর আমার বোনের কোলজুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। বর্তমানে তার বয়স ৫ বছর। এরআগে বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আমার বোনকে বিভিন্ন অযুহাতে তার স্বামী ও শ^াশুড়ি নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে চাপ দেয় আরো যৌতুকের টাকার জন্য’।

তিনি আরও জানান, ‘যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আমার বোনকে মেরে কয়েকবার আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তারা। এরপর স্থানীয়ভাবে তাদের খলিল মেম্বার মিমাংসা করে দেয়। পুনরায় আমার বোনকে মারধোর করলে আমার বাবা পর্যায়ক্রমে মোট ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেয় মো. নজরুল ইসলামকে’। মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘গত আগস্ট মাসে মো. নজরুল ইসলাম আমার বাবার কাছ থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা ও একটি গরু কিনে নেওয়ার জন্য আমার বোনকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমাদের বাড়িতে ২০-২৫ দিন থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হলে গত বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) আমার বোনকে তার স্বামী এসে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতেই আমার বোনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার স্বামী শ^াশুড়ি ও ননদ খাবারের সাথে জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে দেয়। তাদের প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে আমার বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি’।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ মোছা. মর্জিনা খাতুন জানান, ‘স্বামী, শ^াশুড়ি ও ননদ আমাকে রাতে বেধড়ক মারপিট করে জুসের সাথে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে জোরপূর্বক খাইয়ে দেয়। প্রতিবেশিরা ওই রাতেই আমার বাবাকে খবর দিলে তারা এসে আমাকে হাসপাতালে নেয়।

বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) গৃহবধূর পিতা মো. মজিবর গাজী জানান, ‘আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত ছিলাম। অভিযোগ দিতে থানায় এসেছি’। তিনি আরও জানান, ‘তার মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করে উল্টো আমার মেয়ের বিরুদ্ধে তারা থানায় অভিযোগ করেছে। বুধবার পুলিশ এসে আমার মেয়ের কাছ থেকে সব শুনে গেছে’।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর অভিযুক্ত স্বামী মো. নজরুল ইসলাম সরদারের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version