Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জে বড় ভাইকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে স্কুল মাস্টার ছোট ভাই

নিজস্ব প্রতিনিধি: দোকান ভাড়া চাইতে গেলে সে ভাড়ার টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে ঝাঁঝরা করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এরপর সে দোকানের কোলাপসিবেল গেট কেটে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সে আমার সাথে কোনরূপ কথাবার্তা ছাড়াই দোকানের অবকাঠামোর নানারূপ পরিবর্তন শুরু করে। আমি এর কারণ জানতে চাইলে সে ওই জমি ও দোকানের মালিকানা দাবি করে। আমি জমির দলিল দেখানোর পাশাপাশি দোকান জবরদখলের বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাকে মারধর করতে উদ্যত হয় এবং জীবননাশসহ নানা ধরণের হুমকি-ধামকি দেয়। বর্তমানে তার হুমকি ধামকির কারণে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন যাপন করছি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (৪০) এর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন তার বড় ভাই উপজেলার পূর্বনলতা গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে শাহাদাৎ হোসেন সাজু (৫০)।

তিনি বলেন, আমি গত ০৩/০২/২০০৩ তারিখে ৫৬০ নং রেজিস্ট্রি কোবালা দলিল মূলে নলতা মোবারকনগর গ্রামের মরহুম আজিজুর রহমানের ছেলে মো. মালেকুজ্জামানের নিকট হতে নলতা মৌজায় অবস্থিত ০১ (এক) শতক জমি ক্রয় করি যার এসএ খতিয়ান নং ৫৬৬, এসএ দাগ নং-১৩১৭। জমি ক্রয়ের পরপরই আমি উক্ত জমিতে একটি পাকা দোকানঘর নির্মাণ করি। উক্ত জমি বর্তমান জরিপে ২৯৪৮নং ডিপি খতিয়ানে ২২১৩ নং দাগে আমার নামে দোকান শ্রেণিভুক্ত হয়ে রেকর্ড হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার দোকান ঘরটি কয়েকবছর পূর্বে আমার সহোদর ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম (৪২) এর নিকট মৌখিক চুক্তিতে ভাড়া প্রদান করি। প্রথম মাস থেকেই চুক্তি মোতাবেক সে ভাড়া পরিশোধ করে আসছিল। এভাবে ৩ বছর চুক্তি মোতাবেক ভাড়া পরিশোধ করে। পরবর্তীতে ভাড়া চাইতে গেলে সে ভাড়ার টাকা না দিয়ে উল্টো অজ্ঞাত শক্তির জোরে সকলকে অমান্য করে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে আমার সম্পত্তি ও দোকান দখল করে রেখেছে।
দোকানঘর জবরদখল করে নেয়ার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করি। কিন্তু আমার ছোট ভাই শহিদুল কারও কোন কথাই মানছে না।
এমতাবস্থায় আমি আমার সম্পত্তি ও দোকানঘর ফেরত পেতে ও পরিবার পরিজন নিয়ে সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপন করার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version