নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হত-দরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে কার্ডধারীদের কার্ড ডিজিটালের নামে ১১০ টাকা ও ৩০ কেজি চাউল ৩শ’ টাকার পরিবর্তে ৩১০ টাকা নিচ্ছে শহিদুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কার্ডধারী ভুক্তভোগীরা প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও পরে ডিলার শহিদুলের চাউল বিতরণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের কদমতলা বাজারে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্থানীয় ভুক্তভোগী সুশীলা কল্যাণী মন্ডল, কালিকাপুর গ্রামের জাহানারা খাতুন, টঙ্গীপুর গ্রামের স্বপন বর্মণ, কৃষ্ণপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, সুপ্রকাশসহ শত শত কার্ডধারীরা জানান,
ডিলার শহিদুল চাউল বিতরণ কেন্দ্রে কার্ডধারীদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিচ্ছে। কেও যদি স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করে তাহলে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন যাবত তাদের কাছ থেকে বেশি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া কার্ড ডিজিটাল করার নামে তাদের নিকট থেকে ১১০ টাকা করে আদায় করছে। এটির প্রতিকার চেয়ে গত ৯ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন কাজে আসেনি বলে জানান তারা।
রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খোকন বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিলেও কোন কাজে আসেনি। ডিলার শহিদ কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর নাম ভাঙিয়ে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ডিলার শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামি ইউপি নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। সেই আতঙ্কে বর্তমান চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। আমি কার্ড ডিজিটাল করার নামে অতিরিক্ত কোন টাকা আদায় করিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে শহিদুলকে নিষেধ করা হয়েছিলো। এরপরও যদি সে অপকর্ম চালিয়ে যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।