সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
সাতক্ষীরায় ভুয়া প্রতিবন্ধীর চক্রান্ত থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে মামা’র বিরুদ্ধে ভাগ্নের মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শহরের রসুলপুর এলাকায় বসবাসকারি আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের মোঃ আইয়ুব আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনির গোদাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম মধু আমার আপন ভাগ্নে। নিজেকে প্রতিবন্ধি দাবি করে গত ৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যেচার করেছে। মধু আসলে প্রতিবন্ধী নয়, একজন সক্ষম ব্যক্তি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সে ভালই আছে। তবে এলাকায় সে একজন ঠক ও প্রতারক হিসেবে পরিচিত। আমার পিতা ইন্তাজ আলী একজন নিরক্ষর ব্যক্তি। তার কাছ থেকে যে ৫৭ শতক জমি কেনার কথা বলেছে তা আদৌ সত্য নয়। তার নামে কোথাও ১ শতক জমি নেই। তার মা অর্থাৎ আমার বোন আছিয়ার নামে মাত্র ১৭ শতক জমি রয়েছে যা আমার পিতা ইনতাজ আলীর কাছ থেকে ক্রয় করে। ওই ১৭ শতক জমির উপর ঘর বেঁধে সে বসবাস করে। তার কোন জমি পাওনা নাই। আইয়ুব আলী আরো বলেন, আমার ভাগ্নে মনিরুল ইসলাম মধু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছে, আমি তার কেনা সম্পত্তি লোভের বশবর্তী হয়ে চৌকিদার আবদুস সাত্তারের কাছে বিক্রি করেছি। আমি তার কেন, আমার নিজের সম্পত্তি এক কাঠাও কোথাও বিক্রি করিনি। এছাড়া গত ২৯ জুলাই আমার উপস্থিতিতে চৌকিদার আবদুস সাত্তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে ঢুকে তার বৃদ্ধ মাতা স্ত্রী, ছোট ভাইসহ তাকে মারপিট করে জখম করা হয়। যা সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। ওইদিন আমি আমার কর্মস্থল বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রে কর্মরত ছিলাম। কাজেই জমি থেকে তাকে উচ্ছেদ কওে দখল নেয়ার প্রশ্নই উঠে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা ৮ ভাই বোন। আমি একমাত্র ভাই। আমার তিন বোন চায়না, আছিয়া, ও আকলিমা এবং ভগ্নিপতি সেলিম আমার নিরক্ষর পিতাকে ভুল বুঝিয়ে সুকৌশলে আমিসহ আমার অপর চার বোনকে পিতার প্রাপ্য জমি থেকে বাদ দিয়ে গত ২০০৫ সালের ২৬ জুলাই পিতার জাল স্বাক্ষর করে ১৩ শতক জমির একটি জাল দলিল করে। দলিলে পিতার স্বাক্ষর দেখা যায়। কিন্তু তিনি নিরক্ষর। তারা পিতার স্বাক্ষর জাল করে আমি সহ আমার অন্য চার বোন বাবিয়া, ফাতেমা, আরোচা ও মাফিয়াকে ফাঁকি দিতে চেয়েছে। আমি আমার পৈত্রিক ভিটায় মাত্র ৮ শতক জমি পিতার কাছ থেকে ক্রয় করে সেখানে ঘর বেধে বসাবাস করে আসছি। এখন মনিরুল ইসলাম মধু জাল দলিল প্রস্তুুতকারির প্ররোচনায় আমার ওই ৮শতক জমি থেকে উচেছদ করার জন্য বিভিন্ন অজুহাতে, বিভিন্ন পন্থায় চেষ্টা করে যাচ্ছে। মনিরুল ইসলাম মধু প্রতিবন্ধী না হওয়া স্বত্বেও সম্পূর্ন মিথ্যেও আশ্রয় নিয়ে প্রশাসন ও বিভিন্ন ব্যক্তির সহানুভূতি ও আনুকূল্য লাভ করার চেষ্টা করছে। যাতে মানবিক কারণে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসন ও ব্যক্তিরা যাতে আমাকে জমি থেকে উচ্ছেদে তাকে সহায়তা করে। 8,494,984 total views, 2,762 views today |
|
|
|