Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরার দেবহাটায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

দেবহাটা ও কুলিয়া প্রতিনিধি: দেবহাটায় এক স্কুল ছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের পর শ^াস রোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু আগে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা বলে ওই ছত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। পরে সে বাড়ি ফিরে না আসায় রাতভর নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার সকালে গ্রামবাসি স্থানীয় তারক মন্ডল নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত বাড়ির সবজি বাগানে তার বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে থানায় খবর পাঠানে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষিতার লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা জানান, করোনায় লক ডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় একই এলাকার শিবু মন্ডলের ছেলে পার্থ মন্ডল তার মেয়েকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তিনি মেয়েকে শাসন করাসহ তার চলাফেরায় নজরদারি করা হতো। সম্প্রতি স্কুল খুললে মেয়ে তার শিক্ষকের কাছে বিকালে প্রাইভেট পড়ত। গত বৃহস্পতি বার বিকালে মেয়ে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।

গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক স্থানে খোজখুজি করে না পেয়ে সকালে থানায় ডায়রী করার কথা বলে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে গ্রামবাসীদের দেয়া খবরের ভিত্তিতে তার মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি ধারণা করছেন, বখাটে পার্থ মন্ডলই তার মেয়েকে দেখা করার কথা বলে মোবাইলের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ডেকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বখাটে পার্থ মন্ডলের সাথে আরোও একাধিক সহযোগী জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ তার।
স্থানীয় গাভা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীপঙ্কর বিশ্বাস নিহত ছাত্রী তার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কেউ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে ধরনা করা হচ্ছে।
নিহতের পাড়া প্রতিবেশীরা জানায়, প্রথমে কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিয়ের প্রলোভনে পরিবারের অজান্তে ধর্ষিতার সাথে পার্থ মন্ডলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পার্থ গোপনে নিহত ছাত্রীকে মোবাইল ফোনও কিনে দেয়। বাড়ির লোকজনদের সামনে ধর্ষিতা মোবাইল ব্যবহার করতো না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পার্থ মন্ডল ধর্ষিতাকে ডেকে একা বা অজ্ঞাত সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রক্তপাত রক্তক্ষরণ শুরু হলে বা চিৎকার চ্যাঁচামেচি করলে তারা ওই ছত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ জানান, প্রেমঘটিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের মুখে, বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন আছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সন্দেহভাজন আসামিদের পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version