সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
শ্যামনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে গোপন চুক্তিতে বাঁধ কেটে লোনা পানি তুলছে ঘের মালিকরা নদীতে জোয়ারের চাপ বৃদ্ধি পেলেই বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি: শ্যামনগরে উপক‚লীয় এলাকা রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ওয়াপদা বাঁধ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস,ও এবং নির্বাহী প্রকৌশলী সাতক্ষীরার সাথে গোপন যোগসাজসে মাদার নদীর ওয়াপদা বাঁধের তলা দিয়ে কেটে/ফুটো করে লবণ পানি তুলছে ঘের মলিকরা। ফলে লোনা পানিতে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশাংকা করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান,এই স্থলে বাঁধ কর্তনের ঘটনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক , নির্বাহী প্রকৌশলী সাতক্ষীরা , এস,ও শ্যামনগর সাতক্ষীরার নিকটে রেজিঃ ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হলেও বিগত তিন মাসের ভিতরে উক্ত অভিযোগের উপরে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ওয়াব্দার রাস্তার ঐ স্থলে কর্তনের বিষয়ে স্থানীয় এবং জাতীয় দৈনিকে বার বার সংবাদ প্রকাশিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড তা আমলে নেননি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ভিতরে ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হলে বেশ কিছুদিন আগে এক শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে উক্ত লবণ পানির উত্তোলনের কলটি মাটি ভরাট করে বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় সাহাবুদ্দীন বাদী হয়ে মুসল্লীদের নামে শ্যামনগর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। মামলার চাপে এলাকার নিরীহ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে থাকতে অবশেষে সাহাবুদ্দীনের সাথে এক আপোশ মীমাংসা করেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র এ প্রতিবেদকে জানিয়েছেন। আপোষ পরবর্তী রবিবার সকালে সাহাবুদ্দীনের লোকজন নিয়ে পুনরায় ওয়াব্দা বাঁধের ঐ জায়গাটি কেটে লবণ পানি উত্তোলনের কাজ করতে থাকলে জনস্বার্থে ওয়াব্দা বাঁধ রক্ষায় সুপ্রিম কোট হাইকোর্ট ডিভিশনে ৮১৭৫/২০২১ নং রিট আবেদনকারী সমাজ সেবক ও সাংবাদিক মোঃ হুমায়ুন কবির বাঁধ কাটার খবর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস,ও শ্যামনগর, সাতক্ষীরা মোঃ মাসুদ রানাকে জানালে তিনি বাঁধ কর্তন বন্দের বিষয়ে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন , ওয়াব্দার বাঁধের এই স্থলে কর্তনের আশংঙ্কায় সাহাবুদ্দীনের নামে তিনি ইতি পূর্বে শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন এবং পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করেছন। এস ও মাসুদ রানার সাথে স্থানীয় একটি দৈনিকের সাংবাদিক আব্রাহাম লিংকন ঘটনাটি জানালে তিনি বলেন বাঁধ কর্তন বন্দ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়, তিনি আরও বলেন বাঁধ কর্তন বন্দ করতে গেলে আমার উপর হামলা হলে সে দায়ভার কি আপনি নেবেন? অতঃপর ঘটনাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে মুঠো ফোনে অবহিত করা হলে তিনি এস,ও এর মত একই সুরে বলেন , বাঁধ কর্তন বন্দ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ তাদের কাছে অস্ত্র নেই। বাঁধ কর্তন বন্দ করতে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের উপর আক্রমণ হতে পারে তাই তারা সাধারণ মানুষকে বাঁধ কর্তন বন্দ করতে বলেন। বাঁধ কর্তনের এই ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালকের মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। বিষয়টি নজরে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সচেতন মহল। 8,628,104 total views, 7,654 views today |
|
|
|