মীর খায়রুল আলম: প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় এবং বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পার্থ মন্ডল। এতে পরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা দাস (১৫ কে। গত (২৪ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলও বাড়িতে ফিরে না আসায় রাতে বিভিন্ন স্থানে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে থাকে।
পরদিন শুক্রবার একটি সবজি বাগানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় ও নখের দাগ ছিল। এঘটনায় নিহতের পিতা শান্তিরঞ্জন দাস বাদি হয়ে একই গ্রামের পার্থ মÐলের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতেই এ মামলা দায়ের করেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্থ মন্ডলকে সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পার্থ হত্যার কথা স্বীকার করে। এঘটনায় রবিবার সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় সাংবাদিকদের জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পার্থ ও পূর্ণিমার সাথে।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পূর্ণিমার পরিবারকে জানানো হলে তারা বিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। এরপর পূর্ণিমার সাথে সে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলে। যোগাযোগের জন্য পূর্ণিমাকে মোবাইল ফোন সরবাহ করে। কিন্তু পূর্ণিমার পরিবারের চাপে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর পার্থ পূর্ণিমাকে হত্যার উদ্দেশ্য তার সাথে কৌশলে নতুন ভাবে সম্পর্ক শুরু করে।
একপর্যয়ে পূর্ণিমাকে বৃহস্পতিবার ডেকে নিয়ে যায় একটি নির্জন স্থানে। সেখানে গিয়ে বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচিয়ে অচেতন করে। পরে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এরপর তাকে পুনরায় গলাটিপে হত্যা করে পার্থ মন্ডল।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এধরণের হত্যাকান্ড অত্যান্ত লোমহর্ষক যা ঘৃণিত ও নিচু মনের পরিচয় দেয়। পার্থ মন্ডলকে আমরা আদালতে প্রেরণ করব। বিজ্ঞ বিচারক তাকে বিচারের আওতায় আনবেন। আমরা হত্যার সাথে জড়িত সকল আলামত সংগ্রহ করেছি। সেগুলোও আদালতে প্রেরণ করা হবে। আশা করি দেশের প্রচালিত ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।