সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
চিকিৎসার নামে ডেকে নিয়ে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় ক্যান্সার অসুস্থ(পাগল) ব্যক্তিকে চিকিৎসার নামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ফরিদা কর্তৃক জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলেন এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা সদরের আগরদাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বালেন আমার স্বামী গত ২৫ জুলাই ২০২১ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি পাগল ছিলেন। যা এলাকাবাসী সকলেই অবগত আছেন। স্বামীর মৃত্যু মাত্র ৭দিন পর একই এলাকার আনারুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা খাতুন স্বামীর কাছ থেকে দুটি দলিলে ভিটাবাড়ি এবং বিলান সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন মর্মে দাবি করে সম্পত্তির দখল নেওয়ার কথা বলে। তার কথায় আমরা হতভম্ভ হয়ে পড়ি। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি ১৮ জুলাই ২০২১ তারিখে ৪৫৪৮ নং দলিলটি করা হয়েছে। দলিল করার মাত্র ৭দিন পর আমার স্বামী মৃত্যু বরণ করেন। প্রকৃতপক্ষে আমার ওই দিন আমার স্বামীকে উন্নত চিকিৎসার নামে তাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় ফরিদা খাতুন। আমরা এখন উপলদ্ধি করছি ওই দিন কৌশলে তার কাছ থেকে দলিলে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন প্রতারক ফরিদা খাতুন। আমাদের ৭টি সন্তান রয়েছে। অথচ ওয়ারেশদের বাদ দিয়ে আমার স্বামী ফরিদাকে জমি লিখেছেন এটা কীভাবে হতে পারে? তাছাড়া ওয়ারেশগণ কাউকে না জানিয়ে তিনি লিখে দেবেন কেন। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো উক্ত দলিলের শনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন শহরের কাটিয়া উত্তরপাড়ার মরহুম নবাব উদ্দীনের পুত্র দলিল লেখক মাও: মিজানুর রহমান। এছাড়া স্বাক্ষী লিয়াকত আলী, মীর মাহবুবুর রহমান। দলিলে দাতার কোন আতœীয় স্বজনের স্বাক্ষর নেই। তাহলে কিভাবে দলিলটি সম্পন্ন হলো। এছাড়া দলিল লেখক কীভাবে শনাক্তকারী হতে পারেন। তিনি আরো বলেন আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত ওয়ারেশ কাম সার্টিফিকেট (স্মারক সংখ্যা-৫৫৬, তাং- ২৬/০৮/২০২১) অনুযায়ী দেখাযায় দাতা আব্দুল মালেক ৮জন ওয়ারেশ রেখে মৃত্যুবরণ করেন। অথচ কেউ উক্ত কথিত দলিলে স্বাক্ষর করেননি বা কোন গ্রামবাসীর স্বাক্ষর নেই। এছাড়াও ৩৮৬৩ নং দলিলে, ৩১.০৫.২০২১ তারিখে ২২.৮৩ শতক সম্পত্তি দান পত্র করিয়ে নিয়েছেন প্রতারক ফরিদা। দানপত্র করতে রক্তের সম্পর্ক থাকার নিয়ম থাকলেও ফরিদা খাতুন আব্দুল মালেকের রক্তের কেউ না হয়েও কৌশলে দানপত্র করিয়েছেন। আমার ৫ পুত্র সন্তানের মধ্যে ২জন প্রতিবন্ধী। এছাড়াও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি সন্তানদের ওয়ারেশ ফাঁকি দিয়ে মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন পূর্বে কৌশলে জমি হাতিয়ে নেওয়া ওই ফরিদার কবল থেকে স্বামীর সম্পত্তির উদ্ধার এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 8,882,551 total views, 1,952 views today |
|
|
|