নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে অবস্থিত সরকারি খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে সুশীলন নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় কলেজের শিক্ষকসহ প্রাক্তন ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কালিগঞ্জ কলেজ। গত কয়েক বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিষ্ঠানটি সরকারি করণের ঘোষণা দেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম সন্তোষ-জনক।
তবে কলেজের সামনে অবস্থিত দীর্ঘদিনের সরকারি খালটি এনজিও সুশীলন নামে একটি প্রতিষ্ঠান দখল করে ঘেরাবেড়া দিয়ে রাখায় এলাকাবাসীসহ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
কলেজের প্রাক্তন ছাত্র আবু হাসান, আজিজুর রহমান, কবির হোসেন জানান, আমরা যখন কলেজে পড়তাম তখন কলেজের সামনে অবস্থিত খালটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হতো। খালের পাশে কলেজের সাইনবোর্ডও ছিলো। তবে কয়েক বছর যাবত খালটি ঘেরাবেড়া নিয়ে নিজেদের দখলে নিয়েছে সুশীলন। যেটি খুবি দুঃখ জনক।
স্থানীয় জাকির হোসেন, ফিরোজ কবির, আলমগীর হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা সারাজীবন দেখে আসছি খালটি কলেজের নামে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে অতি দুঃখের বিষয় সুশীলন খালটি দখল করে নিজেদের করে নিয়েছে। যার কারণে কয়েকটি এলাকার পানি নিষ্কাশনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। খালটি যখন উন্মক্ত ছিলো তখন এলাকার মানুষ বর্ষা মৌসুমে জাল ফেলে মাছও ধরতো। তবে এগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।
কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ ফাহিম আহমেদ জানান, কলেজের সামনে খালটি সুশীলন ঘেরাবেড়া দিয়ে দখল করেছে। যেটি খুবি দুঃখ জনক। খালটি উন্মুক্তের দাবি জানান তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম জানান, আমার চাকরির আগে থেকে খালটি কলেজের কাজে ব্যবহার হতো। খালের পাশে কলেজেরও একটি সাইনবোর্ড ছিলো। তবে কয়েক বছর যাবত খালটির সাইট নিয়ে ঘেরাবেড়া দিয়েছে সুশীলন কর্তৃপক্ষ। কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য খালটি উন্মুক্তর দাবি জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে শুনলাম। অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে সুশীলনের উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান পল্টুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সামাজিক লোক। আমি খাল দখল করিনি। খালের পাশে কিছু গাছ লাগিয়েছি যেগুলো রক্ষণা-বেক্ষণ করার জন্য ঘেরা দেওয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় কলেজের সামনে সরকারি খালটি অতিদ্রুত উন্মুক্তের দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।