Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে রিং বাঁধ ভেঙে তিন গ্রামের মানুষ পানি বন্দী

নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনির প্রতাপনগরে রিং বাঁধ ভেঙে আবারও লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতাপনগর ইউনিয়নের হরিষখালী মানিক হাওলাদারের বাড়ির সামনে থেকে রিং বাঁধ ধসে পড়ায় এমন ঘটনা ঘটে। গত দু’চার দিন ধরে নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে এক ধরনের শঙ্কা বিরাজ করছিল। এরই মাঝে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা যখন মসজিদ থেকে বের হয় হঠাৎ করে রিংবাঁধটির বড় একটি অংশ ধসে পড়ে।

আনুমানিক ৫০ ফিট জায়গা জুড়ে রিংবাঁধ ধসে গিয়ে তীব্র গতিতে পানি প্রবেশ করছে। এতে করে প্রতাপনগর পূর্ব প্রতাপনগর পশ্চিম ও মাদারবাড়িয়া এ তিনটি গ্রামের প্রায় সাত হাজার মানুষ লবণ পানিতে তলিয়ে প্লাবিত।
স্থানীয় মানিক হাওলাদার জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে হাওলাদার বাড়ির সামনে দিয়ে রিং বাঁধ দেয়া হয়। মাত্র বার মাসের ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রিং বাঁধটি ভেঙে যায়। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে কোন রকম সংস্কারের দু’মাসের মাথায় রিং বাঁধটি দ্বিতীয়বারের মতো ভেঙে যায়।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ বাবুল হোসেন বলেন, আম্পানের পর দীর্ঘ দশ মাস জোয়ার-ভাটা ওঠানামা করায় অধিকাংশ জমিতে খালের সৃষ্টি হয়। এতে করে রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে মাটির তীব্র সংকট দেখা দেয়। ফলে এ অঞ্চলের অধিকাংশ রিং বাঁধ বালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বালির তৈরি এসব রিং বাঁধ হঠাৎ করে ধসে পড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, নদীতে ভাটা শুরু হলে স্থানীয় ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাঁধটিতে কাজ শুরু হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version