আগস্ট ৪, ২০২১
সোতার খাল দখল করে মাছ চাষ প্রতিবাদে মানববন্ধন
সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সোতার খালটি সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সোতার খালপাড়ে বসবাসরত এলাকাবাসী’র উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আকাশ বন্যার কারণে ধর্ষণ অঞ্চলের মানুষ একদিকে দিশেহারা। তার উপর কিছু অর্থ লোভী ও স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের খুটিকাটা কাচিহারানিয়া, শংকরকাটি, বকাঠালবাড়িয়া চারটি গ্রামে প্রায় আট হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে ভেসে ডুবে কোনো মতে দিন পার করছে। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এই এলাকার একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ সোতার খাল। খালটি দীর্ঘদিন উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। তবে বর্তমানে এই খালটি ইজারা দেওয়ার ফলে ইজারাদারদের খামখেয়ালিপনার কারণে ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি ঘর, ফসলি জমি, রাস্থা ঘাট, পুকুর সব পানিতে থৈথৈ করছে। ইজারাদাররা খালের কয়েকটি স্থানে পাটা বসিয়ে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।সোতার খালটি এখন এলাকায় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু জনসংখ্যা অধ্যুষিত কাচিহারানিয়া, খুটিকাটা, শংকরকাটি ও কাঠালবাড়িয়া এলাকার মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চায়। তাই তারা অধিকার আদায়ে হাটু সমান পানিতে দায়িয়ে পথে নেমেছেন। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নওয়াবেঁকী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক তাপস কুমার বৈদ্য, কলেজ ছাত্র দেবব্রত মিস্ত্রি, গৃহবধূ সুনিতা মন্ডল, কৃষক সবুজ মন্ডল, কৃষক মোমিন মোড়ল সহ সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা সীতা রানী বৈদ্য প্রমূখ।বক্তারা জানান কাশিমাড়ী ইউনিয়ন এর খুটিকাটা গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে সাবলীজ নিয়ে কাচিহারানিয়া গ্রামের সাধন মিস্ত্রি ও পার্শ্ববর্তী খুটিকাটা গ্রামের সুপদ মÐল, অনিমেষ মন্ডল, রতি কান্ত মন্ডল, সুকুমার মন্ডল, কমলাকান্ত মন্ডল, নিশিকান্ত মন্ডল ও অজিত মন্ডল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কাযয়েম করেছে। আকাশ বন্যায় প্লাবিত কাচিহারানিয়া, খুটিকাটা, শংকর কাটি, ও কাঠালবাড়িয়া এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র অবলম্বন সোতারখালটি নেট পাটা দিয়ে আটকে রেখেছেন। এ কারণে এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মাটির ঘর বাড়ি খাবার পানির পুকুর হাজার হাজার বিঘা জমির বীজ তলা পানিতে তলিয়ে আছে। এলাকায় চলাচলের একমাত্র মাটির রাস্তাটিও পানিতে ডুবে আছে। এভাবে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে মাটির খুবড়ী ঘরগুলি ভেঙে পড়ছে। রান্না ও পানি নিষ্কাশনের নেই কোনো সু-ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে এদিকে আবার পানিবাহিত রোগ শুর” হয়ে গেছে। এভাবে সকল বক্তারা সীমাহীন দুর্ভোগের কথা জানান। মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা সাতক্ষীরা ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, সাতক্ষীরার সম্মানিত জেলা প্রশাসক, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 8,634,537 total views, 14,087 views today |
|
|
|