তালা প্রতিনিধি: তালার রাজাপুর ইউবিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য তালিকা প্রেরনে প্রতারণা ও কারচুপি অভিযোগ ওঠে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিমাই মন্ডলের বিরুদ্ধে। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অভিভাবক।
অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিমাই কৃষ্ণ মন্ডল তাঁর পছন্দের ব্যক্তিকে এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য বানানোর জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেন। এজন্য তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণি পাশ অভিভাবককে এইচএসসি এবং মাস্টার্স পাশ অভিভাবক বরুন সানাকে এসএসসি পাশ দেখিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ৩জনের নামের তালিকা প্রেরণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হবার পর ম্যানেজিং কমিটির ক্ষুব্ধ সভাপতি ইন্দ্রজিৎ বৈরাগী এবং অভিভাবক বরুন সানা ঘটনার প্রতিকার পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারিফ-উল-হাসান গত ২৯ জুলাই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নিমাই কৃষ্ণ মন্ডলকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) পত্র দেন। উক্ত পত্রে ‘তথ্য গোপন/ভুল তথ্য দাখিল করা হয়েছে কিনা- তা ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হয়।
এ ব্যাপারে রাজাপুর ইউবিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য আদিত্য ব্যানার্জ্জী জানান, প্রধান শিক্ষক নিমাই কৃষ্ণ মন্ডল একের পর এক বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। তিনি পরিকল্পিত ভাবে এডহক কমিটি গঠনের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ সহ নানান অভিযোগ রয়েছে। একারণে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক নিমাই কৃষ্ণ মন্ডলকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে শোকজ করে ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক নিমাই কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, এডহক কমিটির নামের তালিকা প্রণয়নে কম্পিউটারে প্রিন্টিং মিসটেক হয়। ইউএনও অফিস থেকে পাওয়া কারণ দর্শানো চিঠির জবাব ৩কর্ম দিবসের মধ্যেই (৩ আগস্ট) জমা দেয়া হয়েছে।
রাজাপুর ইউবিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/