সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুরে রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়া, ভাংচুর এবং উল্টো মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, পাটকেলঘাটা এলাকার তৈলকুপি গ্রামের মৃত আবু তালেব সরদারের পুত্র আব্দুল কাদের।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ব্রহ্মরাজপুর মৌজায় জে এল নং ১০৩, এস এ খতিয়ন নং ১৩০৯ সংশোধিত খতিয়ান নং ১৩০৯/২, দাগ নং- ৬১১০/৭৬৫৫ ও ৬১১২/৭৬৫৭ মোট সাড়ে ১৬ শতক সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে সাড়ে ৮ শতক আমার শ্বাশুড়ী আজিমন বিবি আমার স্ত্রী নুর নাহার বিবির নামে রেজিস্ট্রি করে দেন এবং আমি একই দাগে আমার শালিকার চুন্নু নাহারের কাছ থেকে সাড়ে ৮ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে মাপ জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ পূর্বক ভোগদখল করে আসছিলাম।
সম্প্রতি উক্ত সম্পত্তিতে গেলে স্থানীয় সামছুর মিস্ত্রি পুত্র চাঁদাবাজ লিটন আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লিটন আমার শ্যালক মোরশেদ আলী গাজী, হাসান আলী গাজীকে ম্যানেজ করে আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করতে বাধা দিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। এবিষয়ে আমরা সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশ মীমাংসা করে দেন। সেখানে আমাদের জমি নিয়ে তারা আর কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে না মর্মে স্বাক্ষর করেন। এমনকি ওই লিটনও স্বাক্ষর করেন। অথচ গত ১৬/০৮/২০২১ তারিখে উক্ত সম্পত্তিতে গেলে লিটন আবারও চাঁদা দাবি করে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং অর্ধনির্মিত ঘর ভাংচুর করে লিটন।
এছাড়া আমাকেসহ সেখানে থাকা আমার শ্যালিকার পুত্র আব্দুস সাদেক, শালিকা নুর জাহান , আমার স্ত্রী নুর নাহারকে মারপিট করে। এঘটনায় আমরা মারাত্মক আহত হই। পরে আমরা সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী-০১ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। তারা কেউ আহত হয়নি। অথচ লিটনের কুপরামর্শে শ্যালক মোরশেদ, তার স্ত্রী জুলেখা, পুত্র রনি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার অভিনয় করে। এবং আমাদের বিরুদ্ধে মারপিটের মামলা দায়েরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্র-পত্রিকায় একটি সংবাদও প্রকাশ করিয়েছে।
জমির সকল কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও বিষয়টি জানেন। আমাদের ন্যায্যতা থাকার পরও জমি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করায় শ্যালকদের গালমন্দও করেন এলাকাবাসী। কিন্তু শুধু মাত্র লিটনের কারণে আমাদেরকে মিথ্যা হয়রানি করা হচ্ছে। উক্ত লিটন আমার কাছে জমির কাঠা প্রতি ২০ হাজার টাকা হিসেবে মোট ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। টাকা না দিলে জমির দখল নিতে দেওয়া হবে না মর্মে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। তিনি ওই চাঁদাবাজ লিটন এবং বোনদের প্রাপ্য সম্পত্তির দখল না দেওয়া শ্যালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।