নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের নিজদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম-নৈশ-প্রহরী পলাশ বিশ্বাস’র (৩০) নামে অসামাজিক কার্যকলাপ, প্রতারণা ও সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় এলাকাবাসী সম্প্রতি দপ্তরি পলাশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিদ্যালয়ের সভাপতি তানজিলা পারভীন ১০ আগস্ট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের নিজদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম-নৈশ-প্রহরী হিসেবে কর্মরত পলাশ বিশ্বাস। সে প্রতিনিয়ত অসামাজিক কার্যকলাপ ও সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত।
বিদ্যালয়ে তার কর্মকান্ডে এলাকার সকলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট বিদ্যালয়ের সামনে অভিভাবক, সুধীবৃন্দ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ওই মানববন্ধনে পলাশ বিশ্বাসকে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বরাবর অভিযোগও দেন এলাকাবাসী। যা সভাপতির অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসি জালাল মোল্লা, আবু বক্কর, রাসেল, তাহাজ্জত হোসেন, মিঠু সরদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পলাশ বিভিন্ন সময়ে স্কুলের মধ্যে নারীদের নিয়ে এসে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। গ্রামের সহজ-সরল মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে গোপন ভিডিও ধারণ করে ।
এরপর পলাশ ওই নারীদের বøাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। সম্প্রতি এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মৎস্যঘেরের বাসায় নিয়ে যায়। ঘেরের বাসার একপাশে গোপনে ক্যামেরা সেট করে রাখে। ওই মেয়ের সাথে অসামাজিক কর্মকান্ড করে সেটি ভিডিও ধারণ করে। এরপর সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয় বলে জানান তারা। লোক-লজ্জায় ভয়ে অনেক মেয়ে পলাশের প্রতারণার স্বীকার হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, দপ্তরি পলাশ স্থানীয় কিশোর গ্যাং’র লিডার। তার নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে এলাকায় মাছ চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকাশ অপরাধমূলক কাজ হচ্ছে বলে দাবি তাদের। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও এলাকার ভাবমূর্তি রক্ষার্থে নৈশ প্রহরী পলাশের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, আমি এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। সকালে অফিসে যেয়ে খোঁজ নিবো। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত পলাশের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা যা করা হচ্ছে সব গুলোই মিথ্যা। একটি গ্রæপ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এ গুলো করছে।