নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর থেকে বালি উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট, জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা। বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট, বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করা যাবে না।
অথচ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামের ইয়াদ আলীর (৭০) দেড় বিঘার একটি পুকুর থেকে কয়েক মাস যাবত কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হায়দার গাজীর ছেলে মামুন গাজীর অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে পানিয়া গ্রামের নুর আলম শেখের ছেলে আল- আমিন (৩০)।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, পানিয়া গ্রামের মৃত আমের আলী খাঁ’র ছেলে ইয়াদ আলীর খাঁ’র প্রায় দেড় বিঘা জমিতে একটি পুকুর রয়েছে। কয়েক মাস যাবত ওই পুকুর থেকে কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হায়দার গাজীর ছেলে মামুন গাজীর অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে একই গ্রামের নুর আলম শেখের ছেলে আল- আমিন (৩০)।
স্থানীয়রা তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে নিষেধ করলেও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর রেফারেন্স দিয়ে বলে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে বালি উত্তোলন করছি।
ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ উল্লেখ করে স্থানীয়রা আরও বলেন, বালি উত্তোলন করতে হলে সরকার স্বীকৃত নির্ধারিত বালি মহাল থেকে তা উত্তোলন করতে হয়। পুকুর বা ডোবা থেকে বালি উত্তোলনের সময় সেখানে যে শূন্যস্থান তৈরি হয় তার কারণে আশপাশের ভূমি বা ভূমিতে অবস্থিত রাস্তা -ঘাট, ফসলি জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
পুকুর মালিক ইয়াদ আলীর জামাতা আব্দুস সাত্তার ও অভিযুক্ত আল-আমিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা বালি উত্তোলনের আগে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর কাছে গিয়েছিলাম। উনার অনুমতি নিয়ে বালি উত্তোলন করছি। সাঈদ ভাই আমাদেরকে বলেছে যদি কেও ঝামেলা করে আমাকে ফোন দিবি। আপনারাা আসার সাথে সাথে ভাইকে ফোন দিছি কিন্তু রিসিভ হচ্ছে না।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর কাছে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি। এমতাবস্থায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন অতিদ্রæত বন্ধ করতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামুন নামে একজন বালি উঠাচ্ছিল সেটি জানতে পেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি করে থাকে এখুনি মেশিনটি জব্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।