আগস্ট ১৭, ২০২১
পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে ভাগ্নে কৃর্তক দরিদ্র মামাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ভবন নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত নুর আলী মোল্যার ছেলে মোঃ লিয়াকত আলী মোল্যা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা মৌজায় ৫২৮ ও ৫১১ নং খথিযানের মোট ১১টি দাগে সাড়ে ৪৬ শতক জমি মাত্রিক সূত্রে আমরা তিন ভাই যথাক্রমে আমি নিজে (লিয়াকত আলী মোল্যা), মোক্তার আলী মোল্যা ও শওকত আলী মোল্যা প্রাপ্ত হই। কিন্তু আমরা তিন ভাই অশিক্ষিত ও অন্ত্যান্ত নিরীহ প্রকৃতির হওয়ায় আমাদের ভাগ্নে যথাক্রমে আজিজুল ইসলাম, হাফিজুল ইসলাম লাল্টু, মোস্তাফিজুর রহমান ও মশিয়ার গং আমাদের প্রাপ্য সাড়ে ৪৬ শতক জমির মধ্যে দখল দেয় মাত্র ১৭ শতক। উক্ত ১৭ শতক জমি আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছি। উক্ত সম্পত্তিতে আমাদের পিতা-মাতার কবর রয়েছে। কিন্তু বাকি জমি আজও বুঝে না দিয়ে ভগ্নেরা নানাভাবে তালবাহনা করে যাচ্ছে। লিয়াকত আলী মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক বছর আগে আমাদের ১৭ শতক জমির পাশে বাজার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ভাগ্নেদের কুনজর পড়ে ওই জমির উপর। বিভিন্ন সময়ে তারা ওই জমি দখলের চেষ্টা করলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বসাবসি করলে ভাগ্নে হাফিজুল ইসলাম লাল্টু বিদেশে থাকায় তার দোহাই দিয়ে অন্য ভাইয়েরা বলে লাল্টু বিদেশ থেকে আসলে মিমাংশা হবে। কিন্তু লাল্টু দেশে ফিরে এসে আমাদের জমি ফিরিয়ে দেয়া তো দূরের কথা উল্টে তা দখলের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে গত জুলাই মাসে আমার ভাইপো আলমগীর হোসেনকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এঘটনায় আমরা থানায় মামলা করলে আদলত থেকে জামিন নিয়ে এসে ভাগ্নেরা গত ১৪ আগস্ট আমাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যে অভিযোগ করে। অভিযোগটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই ওসমান গণিকে। তিনি আরো বলেন, এসআই ওসমান গণি বিষয়টি মিমাংশার জন্য ১৬ আগস্ট উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসির দিন ধার্য্য করেন। কিন্তু পুলিশকে উপেক্ষ করে ১৫ আগস্ট শোক দিবসের ব্যানার ঝুলিয়ে স্থানীয় রাজ্জাক রাজাকারের ( রাজ্জাককে মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করে হত্যা করেছিল) ছেলে মেম্বর শফিকুলের নেতৃত্বে আমরা ৪ ভাগ্নে সকাল ৮টার দিকে ৬জন মিস্ত্রি লাগিয়ে আমাদের রেকডীয় সম্পত্তিতে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করে। বিষয়টি এসআই ওসমান গণি কে জানানো হয়। তার পরও ভাগ্নেরা দ্রæত ঘরের লিংটন পর্যন্ত নির্মাণ করেছে। এঘটনায় আমি ১৬ আগস্ট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে এসআই জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলে চলে আসার সাথে সাথে পুনরায় তারা কাজ শুরু করে। ভাগ্নেরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 8,475,581 total views, 309 views today |
|
|
|