আগস্ট ১৮, ২০২১
কৃষ্ণনগরে খালের অবৈধ নেট পাটা অপসরন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের জনগুরুত্বপূর্ণ জগবাড়ীয়া খালটি ভুমিদস্যুদদের কবল উদ্ধার পূর্বক নেট কাটা ও ভেড়িবাঁধ কেটে অবমুক্ত করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি জননেতা সাঈদ মেহেদী। বুধবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১২ টায় তিনি সরেজমিনে উপস্থিত থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ জগবাড়ীয়া খালটি জেলে সমিতির নামে ইজারা নিয়ে ভুমিদস্যু বিএনপি নেতা ভেড়িবাঁধ দিয়ে দখল করতো তার কবল থেকে দখলমুক্ত করেণ। খালটি দখলমুক্ত না থাকার কারণে বর্ষার পানি না সরার কারণে এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে খালটি দখলমুক্ত করার দাবীতে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণনগর এলাকার জেলে পরিবার। গত ১৫ এপ্রিল-২১ তারিখে জেলে সমিতির সভাপতি কুমার মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক রবিন মন্ডলসহ ৩১জন স্বাক্ষরীত অভিযোগ পেয়ে ইউএনও তৎক্ষনাত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জয়পত্রকাঠি তহশীলদারের উপর দায়িত্ব দেন। জগবাড়িয়া খালটি এক সময় মুক্ত জলাশয়ের মাছে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু বিএনপি নেতা আজিজ গংরা ইজারার যাবতীয় শর্ত ভঙ্গ করে স্থায়ী ভেড়িবাঁধ দিয়ে নিজেদের মৎস্য ঘের বলে মাছ চাষ করে আসছে। ইউনিয়নের অসংখ্য নিরীহ গরীব জেলে ও অসহায় নর-নারী এই খাল হতে মাছ ধরে আমিষের চাহিদা পূরণ সহ জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে কতিপয় ভূমি দস্যু ও বিএনপি’র সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি, আলহাজ্ব শেখ আক্কাজ আলীর পুত্র ধুরন্ধর আব্দুল আজিজ শেখ, ও তার সহোদর বিএনপি’র ছাত্র সংগঠন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম শেখ ও একই এলাকার বানিয়াপাড়া গ্রামের সোবহান আলী শেখ এর পুত্র ভূমিদস্যু সিরাজুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম সহ দখলদার বাহিনী বেড়িবাঁধ ও পাটা ব্যবহার এবং মাটি ভরাট করে সরকারি সম্পত্তিকে নিজেদের কব্জায় এনে স্থায়ী দখলের চেষ্টা চালায়। পাশাপাশি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু আব্দুল আজিজ শেখ, বানিয়াপাড়া খালের প্রায় ২৭ (সাতাশ) বিঘা জমি নিজের ইচ্ছেমতো দখল করে সরকার ও জন প্রতিনিধিদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ভেঁড়িবাঁধের মাধ্যমে মাছের প্রোজেক্ট করে দীর্ঘদিন দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শতশত সাধারণ জনগণ ভুমিদস্যুদের কবল হতে বেড়িবাঁধ কেটে ও নেট পাটা উচ্ছেদ করে। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের এহেন জনকল্যাণমুলক কাজের প্রতিদান স্বরুপ জয়ধ্বনি দিতে থাকে এবং উল্লাস করতে থাকে স্থানীয়রা। উচ্ছেদকালে উপস্থিত ছিলেন জয়পত্রকাটি ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) জালালুর রহমান ও মৌতলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারীবৃন্দ। এদিকে ভূমিদস্যু আব্দুল আজিজ বানিয়াপাড়ার প্রায় ৬৫ বিঘা জমি ভুয়া কাগজপত্রের বলে দখল করে আছে। বর্তমানে ঐ জমিতে কুল বাগান করে জবর দখলে রেখেছে। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল উপকৃত হবে ভুক্তভোগীরা। 8,475,761 total views, 489 views today |
|
|
|