কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর পাটের আঁটির তলা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে গ্রাম বাসি। গত মঙ্গলবার বিকালে শিশুটি নিখোঁজ হয়। আজ বুধবার দুপুরে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দামোদরকাটি গ্রামের পাকা রাস্তার পাশের রাখা পাটের আঁটির তলা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুর নাম মেহেদি হাসান (০৭)। সে উপজেলার দামোদরকাটি মাঠপাড়া গ্রামের ইজি বাইক চালক মহিদুল ইসলামের ছেলে।
নিহত শিশুর বাবা মহিদুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার বিকালে ইজি বাইক নিয়ে ভাড়া খাটতে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় ছেলে মেহেদির মা মোবাইলে জানায় ছেলেটাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া ছেড়ে দিয়ে ইজি বাইক নিয়ে বাড়ি এসে প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে আশপাশে পুকুর ও জলাশয়ে জাল ফেলে পাওয়া যায়নি। পরে ইজি বাইকে মাইক বেঁধে এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে মাইকিং করে ছেলে মেহেদির নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ প্রচার করি। তার পরও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি কলারোয়া থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়।
শিশুর মা’ খাদিজা খাতুন বলেন, বিকালে কাউকে কিছু না বলে খেলতে যায় ছেলে মেহেদি হাসান। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পরও ছেলে বড়িতে না ফেরায় তার বাবাকে জানাই।
সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। আজ (বুধবার) রাস্তার পাশে রাখা পাটের আটির তলায় আমার সোনা মানিকের মেহেদি হাসান। লাশ উদ্ধার হয়েছে জানাতে পারি।
প্রতিবেশী আসমা খাতুন জানান, মঙ্গলবার দুপুরের খাবার খেয়ে মেহেদি ও একই বয়সী রাকিব খেলতে গিয়েছিল দামেদরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। রাকিব বাড়িতে আসলেও মেহেদি হাসানকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষ দর্শী আতিয়ার রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন বলেন, ধানের ক্ষেতে কীটনাশক ছিটাতে গিয়ে দেখি সারা শরীরের উপর পাটের আঁটি আর মাথাটা ধান ক্ষেতের দিকে বের হয়ে আছে। তখন মাঠের অন্য কৃষকদের ডাক চিৎকার দিয়ে জড়ো করি। পরে লোকজন এসে মহিদুল ইসলামের নিখোঁজ ছেলে মেহেদি হাসানের লাশ বলে শনাক্ত করে।
নিহত মেহেদি হাসানের সাথে খেলতে যাওয়া শিশু রাকিব হোসেন জানায়, মঙ্গলবার বিকালে দামোদর কাটি সরকারি স্কুলের মাঠে দুজন খেলা করে সে চলে আসে। পরে সে পার্শ্ববর্তী ব্রজবাকসা গ্রামে মায়ের কাছে যায়। ওই সময় মেহেদি কোথায় ছিল সেটা সে জানেনা বলে জানায়।
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত ওসি মীর খায়রুল কবীর জানান, শিশুর নিখোঁজের ঘটনায় গত মঙ্গলবার পরিবারের পক্ষ থেকে এখন সাধারন ডায়েরি করেছিল। আজ বুধবার পাটের আটির তলা থেকে শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে শিশু নিহতের ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।