Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে ব্র্যাকের ত্রাণের টাকা বিতরণ নিয়ে গুঞ্জন

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ব্র্যাকের উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের কারণে নগদ অর্থ বিতরণের পর অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়ে গেছে দাবী করে টাকা ফেরত নেওয়ার ঘটনা নিয়ে জনমনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে। টাকা পাওয়া সাধারণ অসহায় মানুষরাও নানা প্রশ্ন নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছেন বলে জানাগেছে।
দেশের বৃহত্তর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আশাশুনি উপজেলায় দীর্ঘকাল সেবামূলক কাজ করে আসছে। দেশের মানুষের দুর্গতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি ও অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার ডালি নিয়ে এগিয়ে এসেছে। এরই অংশ হিসাবে এবছর আশাশুনি উপজেলায় ৩০০ ব্যক্তিকে করোনাকালীন ত্রাণ বিতরণের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ করে। ইতিমধ্যে ৩০০ জনের মধ্যে ১৬৭ জনের মোবাইলে প্রত্যেককে ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের টাকা দ্রæত এসে যাবে বলে জানাগেছে।

টাকা পেয়ে ব্র্যাকরে সুফলভোগিরা খুবই খুশি হয়েছে। কেউ কেউ টাকা উঠিয়ে নিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যয় করেছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে টাকা পাওয়া ১৬৭ জনের কাছে ব্র্যাকের স্থানীয় কর্মকর্তারা টাকা পাঠানোয় ভুলক্রমে বেশি টাকা পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকের পাওনা মাত্র ১৫০০ টাকা করে। বাকি ৩০০০ টাকা ফেরত দিতে হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ভাবে অ্যাকাউন্ট বন্দ করে ৩০০০ টাকা উঠিয়ে নিয়েছে ব্র্যাক। কিন্তু ৫৫ টাকা ইতিমধ্যে উঠিয়ে নিয়েছে তাদের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত নেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ৪০ জন টাকা ফেরত দিয়েছে এবং ১৫ জন টাকা ব্যয় করে ফেলেছে দাবী করে ফেরত দিচ্ছে না। এনিয়ে জটিলতা সৃষ্টি এবং যাদের টাকা মোবাইল থেকে ফেরত নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার সচেতন অনেকে প্রশ্নের সুরে বলেন, ব্র্যাকের মত একটি বড় প্রতিষ্ঠান লেনদেনের সময় কীভাবে এত বড় ভুল করতে পারে। এক/দুটি নয় ১৬৭ জনের মধ্যে ১৫০০ টাকার স্থলে ৩৫০০ টাকা করে পাঠানো হলো এটি মেনে নিতে কষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে ব্র্যাক বড়দল শাখার ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, কেন্দ্রীয় অফিস হতে ত্রাণ হিসাবে টাকা মোবাইলে পাঠানো হয়। ভুলক্রমে ১৬৭ জনকে দেড় হাজার টাকার স্থলে সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে পাঠানোর পর বিষয়টি ধরা পড়ে। সাথে সাথে ১৬৭ জনের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০০০ টাকা করে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ৫৫ জন টাকা পাওয়ার পরপরই উত্তোলন করায় তাদের অতিরিক্ত টাকা ফেরত নেওয়া হচ্ছে। তাদের জন্য বরাদ্দ ১৫০০ টাকা করে ছিল। আমরা গত বছরও ১৫০০ টাকা করে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছিলাম।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version