নিজস্ব প্রতিনিধি: অনলাইন কার্যক্রমের অজুহাতে দীর্ঘ ছয় মাস কালিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে অধিকাংশ প্রাক্তন সেনা সদস্য ও সেনা কর্মকর্তারা পেনশন ভাতা, রেশন ভাতা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহার উৎসব ভাতা না দেওয়ায় এবার তাদের পরিবারে কোন ঈদ নেই।
বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছোট ছোট কোরের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের অনলাইন কার্যক্রম শেষ করে জুলাই মাসের বেতন-ভাতাসহ উৎসব ভাতা পেলেও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট চট্টগ্রাম সেনানিবাসের রেকর্ডসের আওতাধীন বহু প্রাক্তন সেনাসদস্যরা ও সেনা কর্মকর্তারা এই অনলাইনের গ্যারাকলের আওতায় দীর্ঘ ভোগান্তি পোহালেও দেখার যেন কেউ নেই।
প্রতিদিন মোবাইলে ম্যাসেজ আসার অপেক্ষায় দিন পার করে ব্যাংক চত্বরে ধরনা দিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী অনেক প্রাক্তন সেনা সদস্য, সেনা কর্মকর্তারা সেনাপ্রধান এবং কমান্ডেন্ট ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টার এন্ড রেকর্ড বরাবর আবেদন করেও ধৈর্যধারণের ম্যাসেজ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংকে খোঁজ নিতে আসা প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা, ওয়ারেন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম, সার্জেন্ট মোক্তার হোসেন, নুরুল ইসলাম, তারক কুমার, কর্পোরাল হাফিজুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিনসহ আরও একাধিক সেনাসদস্য সাংবাদিকদের বলেন, অনলাইন কার্যক্রমের জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের পেনশনের বই জমা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারসহ চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ও অন্যান্য সেনানিবাসের রেকর্ডসে পাঠানো হয়।
আজ পর্যন্ত ছয় মাসের মধ্যে বিশেষ করে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কোরের সদস্যদের খোঁজ-খবর খুবই কম। আমাদের সামান্য পেনশন ভাতায় পরিবার চলে। আমরা কোন সরকারি ভাতা পাইনা। বর্তমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে জীবন-যাপন করছি। গত ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহার বেতন ও উৎসব ভাতার না পেয়ে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করলেও কেউ খোঁজ খবর রাখে না। প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা পেনশন, চিকিৎসা ভাতা ১৫শ’ টাকা রেশন ভাতা জন প্রতি ৪১৮ টাকা করে পাই। জনগণ বলে সেনাবাহিনীরা সব খায় তাহলে ৪১৮/- টাকায় কি ১০ কেজি চাউল হয়?।
কীভাবে আমাদের পরিবার চলে। অনেকের সেনাবাহিনীর সম্বন্ধে কিছু না জেনে অনেকে অনেক মন্তব্য করে। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে ৪১৮ টাকায় একটি পরিবারকে কি দেওয়া যায় সে প্রশ্ন রেখে গেলাম। তারপর দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ আমাদের সবকিছু অনলাইন কার্যক্রমের জন্য বন্ধ থাকায় কবে পাবো সেই অপেক্ষায় বসে আছি। তারা আরও বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সংবিধানের পদাধিকার বলে দেশের তিন বাহিনীর প্রধান বা সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্বে সেনাপ্রধান তো আছেন বিষয়টি তারা আদৌও জানেন কিনা আমরা এ ব্যাপারে সন্দিহান। বিষয়টির দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে প্রাক্তন সেনা সদস্যরা।