Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জে বিধি নিষেধ না মেনেই চলছে পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিনিধি:সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে (কুশুলিয়া) সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বসছে পশুর হাট। স্থানীয়রা জানান, হাট ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ায় আইন অমান্য করে করোনাকালীন সময়ে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় সপ্তাহের প্রতি বুধবার বসছে জমজমাট এ পশুর হাট। সরেজমিনে বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ওই হাটে গেলে দেখা যায়, মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মুখে মাস্ক পরার কোন বালাই নেই। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষের সমাগমে নির্বিষেœ চলছে কুশুলিয়ার এ পশুর হাট।

এছাড়া সেখানে হাটবার হিসেবে বিভিন্ন পণ্যের বাজারেও ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ করা গেছে। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। লক ডাউন চলাকালে গত সপ্তাহের বুধবারেও এখনে ভিড় করে চলে পশু হাটের গরু ছাগল কেনা বেচা। ওই সময়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে অজ্ঞাত কারণে কোন পদক্ষেপই নেয়নি প্রশাসন। কুশুলিয়া পশু হাটের ইজারাদার আমেরিকা প্রবাসী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মোফাখখারুল ইসলাম নিলু হাটটি ইজারা নিয়েছেন।

তিনি দেশের বাহিরে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার পক্ষে তার ভাই কাজী মোজাহিদুল ইসলাম তরুন জানান, ঝামেলা কইরেন না। সবাইকে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করেছি। রাতে হাট শেষে দেখা করেন, কিছু টাকা দিয়ে দেব। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা ডিসি সাহেব, ইউএনও সাহেবসহ সকল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ হাট চালাচ্ছি (যার অডিও রেকর্ড রয়েছে এ প্রতিবেদকের কাছে)। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম পশু হাট নিয়ে প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেন, সরকার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে আগামিকাল থেকে লকডাউন শিথিল করছে।

উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বলার সময় অনেকে অনেক কিছুই বলে তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, আমি ইউএনও সাহেবকে সকালে বলেছি আবারও বলে দিচ্ছি। উল্লেখ্য, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। তবে লকডাউন শিথিল করলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট পরিচালনা করতে হবে।

এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি জরুরি সরকারি নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বহির্গমন পৃথক করতে হবে। পাশাপাশি হাটে আসা সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেন তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি এবং সাবান রাখার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিলের এই আদেশ কার্যকর থাকবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version