কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ৩০ টাকা কেজি চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা জন প্রতি ৫ কেজি করে বিক্রির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে। রবিবার (২৫ জুলাই) সকালে পৌর সদরের তিন জন ডিলারের মাধ্যমে পৃথক স্থান আলিয়া মাদ্রাসা মোড়, হরিনাথ মন্দির বটতলা ও মুরারীকাটি ব্রিজ সংলগ্নে সামাজিক দুরত্ব মেনে মাস্ক পরিহিত নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রির কার্যক্রম ওএমএস কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর সার্বিক তত্বাবাধনে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন ওএমএস কর্মসূচির সদস্য সচিব উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র দাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওএমএস কমিটির সার্বিক তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা উপ-পরিদর্শক খাদ্য তৈয়াবুর রহমান বাবু, উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) খাদ্য কর্মকর্তা মো: আমিনুউদ্দিন মোড়ল প্রমুখ। উপজেলা ওএমএস কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্ধারিত মূল্যে জন প্রতি ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ কেজি দরে আটা ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে নিন্ম আয়ের মানুষেরা জন প্রতি দিনে ৫ কেজি করে কিনতে পারবেন আজ রবিবার ২৫ জুলাই হতে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত। খাদ্য সামগ্রী বিক্রিতে সকল অনিয়ম রুখতে ইতিমধ্যে ৩জন ট্যাগ অফিসার ও ৩ জন ডিলার নিয়োগ করে একটি ওএমএস কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিন জন ট্যাগ অফিসার হলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায়, উপজেলা সহকারী দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা তাহের মাহমুদ সোহাগ। উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আমিনুউদ্দীন মোড়ল বলেন, সারা দেশের ন্যায় কলারোয়া উপজেলাতে ৩০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যেকোনো ব্যক্তি জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন ৩০ টাকা দরে ও আটা কিনতে পারবে ১৮ টাকা কেজি দরে। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় নিযুক্ত ৩ জন ডিলার প্রতিদিন দেড় টন করে চাল ও এক টন বরাদ্দ হওয়া আটা উপজেলার নিন্ম আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারবে। এতে বাজারে চালের দামের ওপরে অনেকটা প্রভাব পড়বে। চালের দাম কিছুটা হলেও কমে আসবে। পরবর্তী নির্দেশানা না আসা পর্যন্ত ১২ দিন উপজেলার তিন স্থানে বিক্রি কার্যক্রম চলমান থাকবে।