Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনির নদীতে নিষিদ্ধ জালে রেণু ধরছে অসাধু ব্যবসায়ীরা

সমীর রায়, নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনির বিভিন্ন নদীতে নিষিদ্ধ ভারতীয় নীল নেট জাল ফেলে বাগদা ও হরিণা রেনু আহরণ করছে একদল অসাধু রেণু ব্যবসায়ী। এতে নদীর প্রাণী বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।

আশাশুনি সদরের খোলপেটুয়া নদীর মানিকখালী ব্রিজ দক্ষিন দিক থেকে শুরু করে দয়ারঘাট গ্রাম পর্যন্ত প্রায় আড়াই কি.মি. এলাকা জুড়ে এ নীল নেট জাল ফেলে রেণু ধরছে রেণু ব্যবসায়ীরা।

প্রশাসনিকভাবে কোন বাঁধা না পাওয়ায় তারাও রেণু ধরতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেখালী গ্রামের নিমতলা নামক স্থানে ১০-১৫ টা নৌকায় করে নদীর মাঝখানে নিষিদ্ধ নীল নেট পেতে পোনা ধরছে আবার কেউ নদীর ক‚লে বাঁশে নীল নেট বেঁধে পোনা ধরছে। নৌকায় থাকা রেণু আহরণকারীদের সাথে কথা বলা না গেলেও ক‚লে থাকা আহরণকারীরা জানান- এবছর বাগদা চিংড়ি চাষে ভরা ডুবি হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে হরিণা চিংড়ি চাষে ঝুঁকেছি।

নেটজালে যে অন্যান্য মাছ বিনষ্ট হচ্ছে সে ব্যাপারে তারা কথা বলতে নারাজ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদীতে একই চিত্র। নীল নেট ব্যবহার হচ্ছে প্রায় সব নদীতে। স্থানীয় লোকজন বলছে, নীল নেট ব্যবহারের ফলে নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কমে যাচ্ছে। আগে গোণমুখে নদীতে জাল ফেললে চিংড়ীসহ বিভিন্ন মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন আর তেমন পাওয়া যায় না।

নীল নেট ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে উপজেলা সিনি. মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক জানান- নীল নেটজাল ব্যবহার সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ এতে নদীর প্রাণী বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রচার প্রচারণা সহ আমরা এসব ব্যবসায়ীদের নিয়ে কথা বলে তাদের পোনা ধরতে নিষেধ করেছি।

কিন্তু মহামারি করোনা মোকাবেলায় লাগাতার ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা পোনা ধরছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছি। আমরা অতিদ্রæত ভ্রাম্য মান আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version