নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে প্রশাসনিক অভিযান এড়িয়ে উপজেলার অধিকাংশ দোকানপাট আংশিক খোলা রেখে বেচা কেনা চলছে এমনটাই দেখা গেছে শ্যামনগর উপজেলা সদর থেকে গ্রাম গঞ্জের সবখানে। রাস্তায় মানুষের আনাগোনাও বেড়েছে ভরপুর। কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি,কারো মধ্যে নেই করোনা ভীতি। যারা বাজারে আসছেন অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। কিছু মানুষের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অন্যদের মাস্ক থাকলেও তা কারো হাতে বা থুতনির নীচে রেখে ঘোরাফেরা করছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার সদরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদেও সকল দোকানপাট খুলে কেনা বেচা করতে দেখা যায়। অধিকাংশ কাপড়ের দোকানে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। কাউকে মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য বিধি,না বিক্রেতা না ক্রেতা।
শ্যামনগর জেসি কমপে¬ক্সের সামনে দেখা যায় শত শত মটর সাইকেল,যাতে চেপে পুরুষ মহিলা এসেছে ঈদের কেনাকাটা করতে।
প্রত্যহ বেলা সাড়ে ১১ টার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সহ পুলিশ,বিজিবি,সেনাবাহিনী বাজার এলাকায় পৌঁছানো পর দোকানীরা দ্রæত যার যার দোকানের শাটার টেনে দিয়ে বাইরে বের হয়ে যায়। চলতে থাকে শাটার বন্ধের হিড়িক। মুহ‚র্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারের অন্যান্য দোকান পাটও বন্ধ হয়ে যায়। মোবাইল কোর্ট চলে গেলে দোকানীরা ফের যার যার দোকানের দরজা ও ঝাঁপ আংশিক খোলা রেখে স্বাভাবিক বেচা-কেনা করে। অবস্থা দেখলে মনে হয় লকডাউন নিয়ে প্রশাসন-ব্যবসায়ীদের লুকোচুরি খেলা চলছে। কেউ মানছে না সরকারি বিধিনিষেধ। অভিযানে দু’চারজনের জরিমানা করা হলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অজয় কুমার সাহার তথ্য মতে শ্যামনগর উপজেলায় ৮ জুলাই পর্যন্ত করোনার নমুনা সংগ্রহ ১৪০০ জন। এরমধ্যে করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা-৩৩৭ জন, মৃত্যু- ১২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১১০ জন।
তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন ও বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে পালন না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণের আহŸান জানান।
এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রম্যমান আদালতে অভিযান চলমান আছে। আইন ভঙ্গকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া বিধি নিষেদ বাস্তবায়নে পুলিশ র্যাব বিজিবির পাশাপাশি ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠে আছে সশন্ত্রবাহিনী।