চুকনগর প্রতিনিধি: চুকনগরে প্রায় ১শ বছরের পানি সরবরাহের পথে মাটি ভরাট করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ১মাস ফসলি জমি পানি বন্দী থাকায় নষ্ট হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল। এঘটনায় কৃষি মহলের ফসলি জমির ফসলের ক্ষতিপূরণ ও বাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ৪টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকা বাসী।
প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলাধীন কুলবাড়িয়া বরাতিয়া মৌজার অন্তর্গত নজরুল মালীর বাড়ি সংলগ্ন কালভার্ট অভিমুখে বরাতিয়া গ্রামের মৃত হামিদ শেখের পুত্র মোঃ কুদ্দুস শেখ দীর্ঘ ১শত বছরের পানি সরবরাহের জায়গায় মাটি দিয়ে ভরাট করায় ১৫/১৬ জন কৃষকের
পাট, ঘাটকোল, বেগুন, বরবটি, ধুন্দল, সিমসহ বিভিন্ন কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ইতিপূর্বে উক্ত বাঁধ এলাকার লোকজন কাটতে গেলে বিবাদী বাঁধা দেয় এবং অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকীসহ জীনবনাশের হুমকী দেয়। এঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর ১৪০ জন কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বরাতিয়া গ্রামের সুকলাল দাস (৯৫), কওসার আলী শেখ (৯০) ও রবীন দাস (৭২) মফিজুর শেখ (৪৫) বলেন, বাপ দাদার আমল থেকে উক্ত পানি সরবরাহের জায়গা দিয়ে পানি সরবরাহ করে আসছে।
কিন্তু কুদ্দুস টাকার জোরে এই বর্ষার মৌসুমে পানি সরবরাহের জায়গায় মাটি ভরাট করে কৃষকের লক্ষ লক্ষ টাকা ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। ফলে যে কোন সময় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমি সোমবার ভোরে বাঁধটি কেটে দিয়ে পানি সরিয়ে দিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট প্রতাপ রায় বলেন, কুদ্দুস অনেক দিন ধরে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সাথে খামখেয়ালিপনা করছে। মানুষ হিসাবে সে একজন দখলবাজ টাইপের মানুষ। তবে আমাদের চাপের মুখে সোমবার ভোরে সে বাঁধটি কেটে দিয়ে জল নামিয়ে দিলেও কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার জন্য তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।