জুলাই ২৮, ২০২১
খাজরায় ভারী বর্ষনে জলমগ্ন নিন্মাঞ্চল
নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরায় টানা দু দিনের ভারী বরষনে গ্রামাঞ্চলের মৎস্য ঘের ও আমন ধানে বীজতলা তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে ইউনিয়নের মৎস্য ঘের ও আমন ধানের বীজতলা ঘুরে দেখা যায়,২৭ জুলাই সন্ধ্যা থেকে ২৮ জুলাই সারা দিন কখনও থেমে থেমে আবার কখনও টানা ঘন্টা ব্যাপী ভারী বরষনে এলাকায় লবণ পানির মৎস্য ঘের ও চলতি আমন মৌসুমে রোপণকৃত বীজতলা তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে। স্বাদু পানির পুকুর,ডোবা,খাল জলে টইটুম্বর হয়ে পড়েছে। ভারী বরষনের ফলে মৎস্য ঘের ও পুকুর তলিয়ে বাগদা চিংড়ির চারা পোনা ও পুকুরে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ ভেসে গেছে। মৎস্য ঘের গুলোতে নেট জাল টাঙানো,ঘেরে চিড়ে,সাগুর দানাসহ বিভিন্ন রকম মাছের খাবার দিয়ে মাছ সংরক্ষনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। এছাড়াও মৎস্য ঘেরের আইলে,বাড়ির আঙিনায়,ক্ষেতে লাগনো বিভিন্ন সবজির ক্ষতি হয়েছে। একাধিক মৎস্য চাষি জানান,অতি মাত্রায় বর্ষা হওয়ায় ঘেরের আইল ছাপিয়ে এক ঘেরের মাছ আরেক ঘেরে চলে গেছে। সপ্তাহ খানেক আগে অনেক চাষি নতুন চারা মাছ ঘেরে ছেড়েছিল। সব মাছ ভেসে গেল। আমদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। এছাড়াও চলতি আমন মৌসুমে এবার আগাম বৃষ্টি হওয়ায় বীজতলা তৈরির কাজ কৃষকরা আগে ভাগেই প্রস্তুত করেছিল। অতি বৃষ্টিতে ৯০ভাগ বীজতলা এখন পানির নীচে। যদি সময় মত পানি না কমে তাহলে পানির নীচে তলিয়ে যাওয়া আমন ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাবে। কয়েক হাজার বিঘা মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষিরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে স্থানীয়রা জানান। এদিকে অতিদ্রæত পানি নিঃষ্কশনের ব্যবস্থার একমাত্র কালকীর ¯øুইজ গেট পলি পড়ে পানি সরবরাহ নাজুক হয়ে পড়েছে। অবৈধ নেট পাটা সে মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অবৈধ নেট পাটা অপসারণ ও কালকীর ¯øুইজ গেটের পলি সরিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার,এসিল্যান্ড,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার কৃষকরা। 8,474,624 total views, 2,264 views today |
|
|
|