জুলাই ২৪, ২০২১
কলারোয়ায় বিনাভাড়ায় সরকারী কোয়ার্টারে ৩০ বছর বসবাস রহিমার আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলেছেন গবাদিপশুর খামার ও গাড়ির গ্যারেজ
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া এলজিইডি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির (এমএলএস) কর্মচারী রহিমা খাতুন এখন কোটিপতি। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠা রহিমা চাপে চ্যাপ্টা উপজেলা প্রশাসন। বিনা ভাড়ায় সরকারি কোয়ার্টারে বছরের পর বছর বসবাস করা রহিমা দলবাজিতেও সিদ্ধহস্ত। প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বাস ভবন দখল করে সেখানে গড়ে তুলেছে গরুর খামারও। নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই সরকারি স্থাপনায় বসে চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক ব্যবসা বাণিজ্য। আর এ ভবেই একের পর এক অনিয়ম করে রহিমা এখন কোটিপতি। উপজেলা প্রশাসনের আবাসিক এলাকায় তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী রহিমা খাতুন প্রশাসনের সরলতার সুযোগ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মরত কর্মকর্তাদের আবাসিক কোয়াটার এখন দখল করে সেখানে তার নিজের মালিকানার প্রাইভেট কার ও ইজিবাইকের গ্যারেজ বানিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। একই সাথে প্রশাসনকে থোড়াই কেয়ার করে আবাসিক এলাকাতে গড়ে তুলেছে গরু, ছাগলের খামার। চলছে হাঁস মুরগি পালনও। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে নিজেকে অসহায় ও এতিম সন্তান আছে এমন পরিচয় দিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ উপজেলা সমাজ অফিসের সংলগ্ন গোলাপ নামে আবাসিক কোয়াটারে বিনা ভাড়া বসবাসসহ এসব ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছে। ও গবাদি পশুর চারণ ক্ষেক্রে পরিনত করছে। উপজেলার গোটা আবাসিক এলাকা এখন রহিমার গো চারণভূমি। সেই অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে উপজেলার চত্বরে বিভিন্ন ফলজ অর্থাৎ আম,কাঠালের গাছেরডাল ও পাতা ভেক্সেগ গোখাদ্যবানিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পশু পালন করে আসছে।এতে করে এখন আর তেমন উপজেলার গাছগুলোতে ফল-ফলাদি হয় না,পাশা-পাশি সরকারে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার বনজ সম্পদ ধ্বংস ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।উপজেলার আবাসিক কোর্য়াটারের বসবাসরত কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান খামারের পুশু-পাখির মল মূত্রের দূর্রগন্ধে আবাসিক এলাকায় বসবাস করার পরিবেশ মারাতœক বিনষ্ট হচ্ছে। এদিকের উপজেলা মসজিদের নিয়মিত কয়েকজন মুছাল্লিরা জানান রহিমা খাতুনের দুটি গাভী প্রায় সময় মসজিদের সামনে বেঁধে রেখে ঘাস খাওয়ানো হয় এতে গাভীর মল মূত্র মাটিতে পড়ে থাকে,সে এটা পরিস্কার করে না।এতে পায়খানার দূরগন্ধ ছড়ায়,অনেকের রাতের ইশার নামাজ পড়তে আসলে মুছাল্লির পায়ে লেগে ওজু নষ্ট হয়। বেখালেপা পিছলে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও আছে। বারবার নিষেধ করার স্বত্বেও তিনি তা মান্য করেন না।আজও মসজিদের মুছাল্লিদের বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে গরু বেধে রাখে। এলাকা বাসী জানান তার স্বামী হাফিজুর রহমান উপজেলার ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন গত ১৯৯৫ সালে বিদ্যুতের শাট খেয়ে মারা যান। তার পরে তিনি সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অসহায়তা দেখি বয়স কমিয়ে এলজিইডি অফিসে ৪র্থ শ্রেণির চাকরি নেন।আজ থেকে ২৬ বছর আগে তার স্বামী মারা যান, সেখান থেকে অধ্যবধি উপজেলা এলজিইডি অফিসে চাকুরি করে যাচ্ছেন,তার বর্তমান বয়স ৫৮ বছর সে কোনদিন বদলি হয়নি। এখনও চাকুরি আছে ১০ বছর পরে অবসরের যাবেন।তার দুই ছেলে মধ্যে আব্দুল কাদেরকে অনেক টাকা ঘুষ দিয়ে পৌরসভার ইলেক চাকরি নেন সড়ক বাতি কাজ করেন। রাতের বেলা এলজিইডি অফিসের নৈশ প্রহরী কাজ করেন। রহিমা খাতুন বলেন, আমি গত ৩০ বছর যাবত এভাবে পশুপালনসহ বসবাস করে আসছি। কেউ আমাকে কিছু বলে না। বর্তমানে কুরবানির হাটে কয়েকটা পশু বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমানে ৫ টি গরু ৬ টি ছাগল, ৬ টি কবুতরসহ হাঁস মুরগী আছে। 8,609,837 total views, 1,494 views today |
|
|
|