কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া প্রতিপক্ষের হামলায় নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিহতের ছেলে রিপন হোসেন বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছে। টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলা সংঘর্ষে রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার ওফাপুর আনছার ভিডিবি ক্লাবের সামনের মোড়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজাউল (৫৫) কলারোয়া উপজেলা যুগিখালী ইউনিয়নের ওফাপুর গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল গফুরের ছেলে। নিহতের ছেলে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শেখ রিপন হোসেন জানান, ওফাপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদ ঢালীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন, আফজাল হোসেন ও আজগর হোসেন বেশ কিছুদিন যাবৎ তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার ওই সময় তারা ওফাপুর স্কুলের সামনে বসন্তপুর মোড়ে তার পোল্ট্রির দোকানে এসে আবারো চাঁদা দাবি করে। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট শুরু করে। এ সময় পাশে থাকা তার পিতা ছুটে আসলে তাকেও মারপিট করে বুকে কয়েকটি লাথি মারলে তার পিতা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
পরবর্তীতে গুরুতর আহ অবস্থায় তার পিতাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অভিযুক্ত উজ্জ্বল হোসেন জানান, নিহত শেখ রেজাউল ইসলামের ছেলে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শেখ রিপনের কাছে তাদের ১২ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। জেলায় মাসাধিকাল লকডাউন চলায় তাদের সংসার চালাতে হিম শিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় টাকা চাইলে বিভিন্ন সময় টালবাহনা করে আসছিলো। এ নিয়ে রিপনের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রিপনের বাবাসহ তার পক্ষোর ৪/৫ জনের সাথে ও আমার পক্ষের ৪/৫ জনের সাথে কিল ঘুষি মারার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলের অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, উজ্জ্বলকে নিহত রেজাউল ইসলাম আক্রমণ করে। এসময় উজ্জ্বলকে রক্ষা করতে একই গ্রামের আনারুলের ছেলে হৃদয়, ওমর মোড়লের ছেলে রুলামিন, আমিনুদ্দীনের নাতি ছেলে ইমানালী, স্থানীয় হায়দার আলী, এগিয়ে আসে। এসময় ঠেলা ধাক্কা ও কিল ঘুষি মারামারির ঘটনা ঘটে। ভিড়ের মধ্যে যেকোন এক ব্যক্তির আঘাতে রেজাউল মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার শেখ কামাল হোসেন এসে চিকিৎসা দেয়। ডাক্তার কামাল হোসেন জানায়, রোগীর অবস্থা খারাপ মনে হওয়ায় তাকে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার অহিদুজ্জামান তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। রেজাউল হার্টের রোগী ছিলেন। সে গত দুই বছর যাবত চিকিৎসাধীন ছিলেন। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, এঘটনায় নিহতের ছেলে রিপন হোসেন বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা ( নং ১০ ) দায়ের করেছেন। আসমী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।