জুন ১৫, ২০২১
তালায় ইউএনও পরিচয়ে ফোন : প্রতারণার শিকার চেয়ারম্যান সহ একাধিক ব্যক্তি
বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা: তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয়ে ফোন করে ইউপি চেয়ারম্যান সহ একাধিক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলেছে প্রতারক চক্র। ওই চক্রটি কৌশলে উপজেলার খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে দফায় দফায় হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু সহ ভুক্তভোগীরা প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উপজেলার খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু জানান, রোববার বিকালে তালার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয়ে ০১৭৫৯-৩৪৫৭০৭ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে কল করে বলা হয়- আপনার ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের রাসেল সরদার নিজ বাড়িতে বেকারী তৈরী করেছে। রাসেলের বেকারী করার কোনও অনুমতি নেই। তাই তাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওদের আমার সাথে এই নাম্বারে যোগযোগ করতে বলেন। নাহলে তাদের জেল দেয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি রাসেল সরদারের চাচা মোজাম্মেল হককে ফোন করে জানিয়ে খোঁজখবর নিতে বলেন। ভুক্তভোগী রাসেল সরদার জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া কথিত এসিল্যান্ডের নাম্বারে যোগাযোগ করলে বলা হয়- আপনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর ০১৬৬০-১৫১৩১১ নাম্বারে কথা বলেন। এসময় রাসেল’র চাচা মোজাম্মেল কথিত ইউএনও এর ০১৬৬০-১৫১৩১১ নাম্বারে যোগাযোগ করলে অনুমোদন বিহীন বেকারী পরিচালনার দায়ে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে জেল দেয়া হয়েছে জানিয়ে অফিসে আসার কথা বলে। পরমুহুর্তে আবার অফিসে আসতে নিষেদ করে প্রতারকচক্র ইউপি চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘ কথা শেষে বিকাশে টাকা দিতে বলে। এসময় প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে না পেরে বেকারী ব্যবসায়ী রাসেল সরদার প্রতারকদের দেয়া নাম্বারে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু জানান, ব্যস্ততার কারনে আমি ব্যাপক খোঁজ নিতে না পেরে বেকারী ব্যবসায়ী রাসেল’র চাচাকে খোঁজ নিতে বলি। কিন্তু তারা আমাকে না জানিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়ে ১০ হাজার টাকা বিকাশে দিয়ে দেয়। এছাড়া একই দিন স্থানীয় ইউপি সদস্য’র মাধ্যমে কৌশলে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ বালিয়া গ্রামের অপর বেকারী ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের কাছে প্রতারক চক্র ইউএনও পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেবার চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই রাসেল সরদার’র প্রতারিত হবার বিষয় জানাজানি হলে রেজাউল ইসলাম রক্ষা পান। এরআগে প্রায় ৪বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান রাাজিব হোসেন রাজু নিজেই অনুরুপ এক প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েন। সেসময় প্রতারক চক্র তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এদিকে, প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে এলাকার একটি মহল নানান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে রাজিব হোসেন রাজু অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তিনি আবারও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন। কিন্তু একটি মহল নানান ভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে তাঁর ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন রাজু মঙ্গলবার (১৫ জুন) তালা থানায় একটি জিডি করেছেন। 8,604,635 total views, 12,514 views today |
|
|
|